f

Personal Loan, Home Loan, Business Loan, Life Insurance

Breaking

Google search

Translate

Showing posts with label Islamic hadith. Show all posts
Showing posts with label Islamic hadith. Show all posts

Friday, September 17, 2021

September 17, 2021

ফজরের নামাজের ফজিলত সূমহ।ফজরের সালাতের ১০টি ফজিলত। ফজরের নামাজের উপকার গুলি কি কি

 "ফজরের_সালাতের_১০টি_ফজিলত:-


এগুলো জানার পর কারো আর ফজর সালাতে গাফেলতি, অলসতা আসবেনা... ইনশাআল্লাহ।


🔘১.ফজরের সালাত মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্যকারী, কেননা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের জন্য ফজর সালাত আদায় কষ্টকর!

__(বুখারী ৬৫৭,৬৪৪,২৪২০,৭২২৪; মুসলিম ৬৬১)


🔘২.রাসূল (সাঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে, সে ব্যক্তি ঐ দিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়। অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নেন।

__(সহিহ মুসলিম, তিরমিজি ২১৮৪)


🔘৩.রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, আল্লাহর ফেরেশতাগন আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দিবে।

__(বুখারী-মুসলিম)


🔘৪. রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 

"যে ব্যক্তি ফজর সালাত জামাতের সাথে আদায় করে, আল্লাহ তাআলা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন!

__(সহিহ মুসলিম-১০৯৬)


🔘৫. রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন।

__(আবু দাউদ ৪৯৪)


🔘৬.যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত দান করবেন। অথাৎ সে আল্লাহর দিদার লাভ করবে, এবং জান্নাতি ঐ ব্যক্তি আল্লাহকে পূর্নিমার রাতের আকাশের চাঁদের মতোই স্পষ্ট দেখবে।   __(বুখারী-৫৭৩)


🔘৭. যে ব্যক্তি নিয়মিত ফজরের সালাত আদায় করবে, সে কখোনোই জাহান্নামে প্রবেশ করবেনা।

__(সহিহ মুসলিম ৬৩৪) 


🔘৮.ফজরের সালাত আদায়কারী, রাসূল (সাঃ)-এর বরকতের দোয়া লাভ করবেন।

__(সুনানে আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)


🔘৯.ফজরের দু রাকাত সুন্নত সালাত, দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তারচেয়ে উত্তম।

__(জামে তিরমিজি ৪১৬)


🔘১০. ফজরের সালাত আদায়ের ফলে ব্যক্তির মন ফুরফুরে, প্রফুল্ল হয়ে যায়।

__(সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম)


❤সুবহানাল্লাহ❤


মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের উপরোক্ত সব নিয়ামতের ভাগীদার করুন।

===============================

ফজরের সালাত না পড়ার সাস্তি।


একটি হাদিসে আছে যে, 

মৃত্যুর পর তাদের মাথাকে পাথর দিয়ে চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে, যারা ফজরের সালাত (নামাজ) না পড়ে 

ঘুমিয়ে থাকতো।

""/সহীহ বোখারী ৭০৪৭/""


ফযর সালাতের ১০ টি ফযিলত এবং সাস্তি।

""""/ বিস্তারিত উপরে /""""

Wednesday, July 24, 2019

July 24, 2019

আল্লাহ সবার গুনাহ ক্ষমা করে দেই

আসসালামু আলাইকুম,আমাদের সমাজের তরুন-তরুনীরা কোন পাপ করে থাকলে তা তাদের বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করতে খুবই পছন্দ করে। কৃত পাপকে সবার মাঝে প্রচার করাকে গর্বের কাজ বলে মনে করে।

অথচ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত কোন পাপ করে থাকলে তা গোপন রাখাই উচিৎ।

এই ভাবে পাপ গোপন রাখতে পারলে মহান আল্লাহ সেই পাপকেও গোপন রাখেন অথাৎ মাফ করে দিবেন।

নিচের হাদীসটি দেখুন
আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণীত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে,

“আমার সমগ্র উম্মাতকে মাফ করা হবে, তবে যে নিজের গুনাহ প্রকাশ  করে তাকে ব্যতীত।

আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে, কোন লোক রাতে অপরাধ করলো যা আল্লাহ গোপন রাখলেন।

কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগলো,

‘হে অমুক! আমি আজ রাতে এই কাজ করেছি।’

অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটালো যে, আল্লাহ তার কর্ম (পাপ) লুকিয়ে রেখেছিলেন আর সে ভোরে উঠে তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেললো।”

[বোখারী হা/৬০৬৯, ৫৫৩০(ইফা),৫৬৩৪(আ.প্র); মুসলীম ৫৩/৮ হা/২৯৯০]

সুতরাং আমাদের কেউ কোন পাপ করে ফেললেও উপরোক্ত হাদীসের কথা মাথায় রেখে তা যথাসম্ভব গোপন রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

আল্লাহ আমাদের সকলকে সকল প্রকার পাপথেকে মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুন।

আমিন..

Saturday, July 13, 2019

Monday, June 10, 2019

June 10, 2019

Islamic Story -bangla

একটি শিক্ষণীয় ইসলামিক গল্প
একটি শিক্ষণীয় ইসলামিক গল্প
,
অন্ধকার ঘরে শুয়ে আছে রাহাত । আজকে
সারাদিন অনেক খাটনি গেছে, প্রচণ্ড ক্লান্ত,
কখন যে বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে
গেছে টেরও পায় নি। এখন ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা
করছে না। রান্নাঘর থেকে মা ডাকলেন,
“রাহাত, আর কত ঘুমাবি? আলসেমির একটা সীমা
থাকা দরকার! ওঠ এখন। আয় চা খা।“
মোবাইলে সময় দেখল রাহাত। তারপর অনেক
কষ্টে নিজেকে টেনে উঠিয়ে অজু করতে গেলো।
মাগরিবের আজান দিয়েছে অনেকক্ষণ হয়েছে,
আর বেশী সময় নেই। নাহ, এতো দেরি করা ঠিক
হয় নি। বালতিতে হাত পা ডুবিয়ে ২ সেকেন্ডে
অজু করলো। তারপর তাড়াহুড়ো করে নামাজ শুরু
করলো।
“আল্লাহু আকবার!”
“আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন” … দুপুরে
কিছু খাইনি, ক্ষুধা লেগেছে।
“কুলহুওাল্লাহু আহাদ… “ আম্মু কি চায়ের সাথে
কিছু নাস্তা বানিয়েছে?

“সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” … সেজদায় শুয়ে
থাকতে ইচ্ছা করছে…
হঠাৎ মাটি অসম্ভব জোরে কেঁপে উঠলো। সেজদা
থেকে উলটিয়ে পড়ে গেল রাহাত। ব্যথায় কুঁকড়ে
গেল শরীর। মুখে কীসের যেন গুড়ো পড়ছে। উপরে
তাকিয়ে দেখল, বাড়ির ছাদ ভেঙ্গে পড়ছে! ছুটে
ও ঘর থেকে বেরুলো। বেরিয়ে যা দেখল তাতে
ওর চোখ প্রায় কপালে উঠে যাওয়ার অবস্থা। ওর
বাড়ি ঘর এলাকা কি করে যেন অদৃশ্য হয়ে গেছে।
সেখানে আছে এক বিশাল ধবধবে সাদা মাঠ।
সেই মাঠে দাঁড়িয়ে আছে পিপড়ার মতো
পিলপিল করা মানুষ।
যদিও নিজের চোখে দেখতে হবে ভাবেনি, এসব
দৃশ্যের বর্ণনা ও বইয়ে পড়েছে। তাই ব্যাপারটা
বুঝতে ওর দেরি হল না – সে চোখের সামনে
কেয়ামত দেখতে পাচ্ছে।
বুকটা ধক করে উঠলো। এখনই কি আমার হিসাব
হবে? এতো তাড়াতাড়ি? কিছুই তো করার সময়
পেলাম না। কত ভুল করেছি যেগুলোর ক্ষমা
চাওয়া হয়নি। কত সময় নষ্ট করেছি, কত কিছু করতে
পারতাম, করা হয় নি।
নাহ, তবুও রাহাত প্রতিদিন নামাজ পড়েছে।
কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম হিসাব হবে
নামাজের। নামাজ ঠিক তো সব ঠিক।
হিসাব শুরু হয়ে গেছে। শীঘ্রই ওর পালা …
“রাহাত মাহমুদ।“
মানুষের ভিড় দুই ভাগ হয়ে ওকে যাবার রাস্তা
করে দিলো। ফেরেশতারা ওর খাতার হিসাব
করছে। ওর পাল্লা ভারি হয়ে আসছে! হায় হায়!
এতো গুনাহ করেছে ও বুঝতেই পারে নি। শেষে
ওকে স্বীকৃতি দাওয়া হল জাহান্নামের
বাসিন্দা বলে!
দুইজন ফেরেশতা ওর কপালের চুল ধরে টেনে
নিয়ে যাচ্ছে। সবাই তাকিয়ে আছে ওর দিকে।
এক অবিশ্বাস্য ভয়ংকর আগুনের দিকে ওকে
নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এই আমার পরিণতি! এ কি করে সম্ভব, আমি তো
নামাজ পড়েছি ! আমার নামাজ আমাকে
বাঁচাচ্ছে না কেন? আমি যে এতো নামাজ
পড়েছি সব বৃথা? আমার নামাজ… আমার নামাজ !
ফেরেশতা দুজন তাকে তুলে আগুনে নিক্ষেপ
করলো। ওর বুক ফেটে বের হল অমানবিক আর্তনাদ
– “ না !”
জাহান্নামের আগুনের দিকে পড়তে লাগলো
রাহাত।
হঠাৎ কে যেন ওর হাত ধরে ফেলল, টান দিয়ে
উপরে উঠালো তাকে।
স্বস্তিতে কেঁদে দিলো রাহাত। “এই জঘন্য
পরিণতি থেকে আমাকে বাঁচালে, কে তুমি?”
“আমি তোমার নামাজ।“
“ওহ!” হঠাৎ রাগ হল রাহাতের।
“এতো দেরি হল কেন তোমার? আমি তো প্রায়
জাহান্নামে পড়েই গিয়েছিলাম!”
“তুমি দেরি করতে না নামাজ পড়তে? শেষ সময়
পার হবার বিন্দুমাত্র আগে? তাই আমারও দেরি
হয়েছে তোমাকে বাঁচাতে, জাহান্নামে পড়ার
বিন্দুমাত্র আগে!”
চোখ খুলল রাহাত। চোখে সবুজ দেখছে। বুঝতে
একটু সময় লাগলো যে এটা ওর জায়নামাজের
অংশ। সেজদা থেকে মাথা উঠালো সে।
আমি বেঁচে আছি!
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার!
এশার আজান দিচ্ছে। ক্ষুধা টুধা ভুলে মসজিদের
দিকে দৌড় দিলো রাহাত। এরপর আর কোনদিন
নামাজে দাড়াতে ওর দেরী করার চিন্তাও
করবে না সে, এই প্রতিজ্ঞা করলো মনে মনে।
অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর, যারা তাদের
নামাজের ব্যাপারে অমনোযোগী। [সুরা আল-
মা’উন, ১০৭:৪-৫]