f

Personal Loan, Home Loan, Business Loan, Life Insurance

Breaking

Google search

Translate

Showing posts with label সমস্ত কিছু কে সৃষ্টি করেছেন. Show all posts
Showing posts with label সমস্ত কিছু কে সৃষ্টি করেছেন. Show all posts

Saturday, July 13, 2019

Saturday, June 29, 2019

June 29, 2019

যে রাতটি লাইলাতুল কদর হবে সেটি বুঝার কি কোন আলামত আছে?

যে রাতটি লাইলাতুল কদর হবে সেটি বুঝার কি কোন আলামত আছে?

হাঁ,সে রাতের কিছু আলামত হাদীসে বর্ণিত আছে।
সেগুলো হল:-

(১) রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।

(২) নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।

(৩) মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।

(৪) সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।

(৫) কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।

(৬) ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।

(৭) সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত।
(সহীহ ইবনু খুযাইমাহ : ২১৯০ ;
বুখারী : ২০২১ ; মুসলিম : ৭৬২)।

 আপনি কি ১ রাতে ৮৩ বছর ৪ মাস ইবাদতের চেয়ে বেশী সওয়াব পেতে চান?

আল্লাহ তা’লা বলেন-
ﻟَﻴﻠَﺔُ ﺍﻟﻘَﺪﺭِ ﺧَﻴﺮٌ ﻣِﻦ ﺃَﻟﻒِ ﺷَﻬﺮٍ
শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
(সূরা কদর-আয়াত ৩)

শবে কদরের দোয়া :

ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﺗُﺤِﺐُّ ﺍَﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﻲ
" আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নী।"
অর্থাৎ, হে আল্লাহ্! নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা ভালবাস। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
(আহমদ,তিরমীযি,ইবনু মাজাহ; মিশকাত :২০৯১)
(রিয়াযুস স্বা-লিহীন: তাওহীদ পাবলিকেশন্স: পৃষ্ঠা-৫৩৬ :হাদীস-১২০৩)।

 আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন: আমি বলেছি, হে আল্লাহর রাসুল ﷺ , আপনি কি লক্ষ করেছেন আমি যদি লাইলাতুল ক্বদর জানতে পারি, আমি তখন কি বলবো
(কি দু’আ করবো)? তিনি বলেনঃ তুমি বলবে;
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﻛَﺮِﻳﻢٌ ﺗُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﺎ
উচ্চারণঃ
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা 'আফিউন কারিমুন তুহিব্বুল 'আফ ওয়া ফা'ফু আন্নি!
-হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমশীন, দয়াবান, ক্ষমা করতে তুমি ভালবাসো, এতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
[তিরমিযী হা/৩৫১৩; ইবনে মাজাহ হা/৩৮৫০;
মিশকাত হা/২০৯১]

আপনি যদি এটা বছরে গণনা করেন তবে এ রাতে ইবাদত করা মানে দাঁড়াচ্ছে ৮৩ বছর ৪ মাস ইবাদত করার চেয়েও শ্রেষ্ঠ। একজন মানুষ ৮৩ বছর ৪ মাস বেঁচে থাকবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই কিন্তু মাত্র রমজানের শেষের এই ১০ টি রাত জেগে ইবাদত করলে নিশ্চিত পেয়ে যাবেন ৮৩ বছর ৪ মাস ইবাদত করার সমান সওয়াব। আর যারা ১০ রাত জাগতে পারবেন না তারা অবশ্যই ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ এই পাঁচটি রাত জেগে জেগে মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করবেন কেননা এই ৫ রাতের যে কোন রাতই
কদরের রাত হতে পারে, আপনি যদি শুধু ২৭-এর রাত জেগে ইবাদত করেন তাহলে আপনি হয়তোবা হারিয়ে ফেলতে পারেন মহান রবের এই অসিম করুনার রাত।

এজন্য যারা ইতিকাফ করেন, এটা তাদের জন্য যে কতো বড় খুশীর ব্যাপার কেননা তারা নিশ্চিতভাবেই পেয়ে যাবে কদরের রাত এজন্যই তো মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতে ছাড়তেন না, আমাদেরও প্রত্যেকের উচিত, সম্ভব হলে ইতিকাফ করা,
নিজেদের কল্যাণের জন্য ১০ টা দিন কি আল্লাহ তা’লার পথে আমরা ব্যয় করতে পারি না? আর ইতিকাফ করা সম্ভব না হলেও অবশ্যই নিজের পরিবারের সবাইকে নিয়ে অন্তত বিজোড় রাতগুলো সাড়া রাত জেগে ইবাদত করবেন ইন- শা-আল্লাহ, আর কেনোইবা করবেন না,
দেখুন রাসুল (সাঃ) কি করেছেন শেষের এই ১০ রাতে-রাসুল (সাঃ) রমজানের শেষ ১০ রাতেই প্রায় সারারাত জেগে ইবাদত করেছেন এমনকি রাতগুলোতে রাসুল (সাঃ) ইবাদত করার জন্য লুঙ্গি শক্ত করে বেধে নিতেন এবং পরিবারের সকলকেও ইবাদতের জন্য জাগাতেন।
(বুখারি -২০২৪)।

রমজানের শেষ দশদিনে রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোমর বেঁধে ইবাদতে আত্মনিয়োগ করতেন। নিজে জাগতেন এবং পরিবারের লোকজনকেও জাগিয়ে
তুলতেন।
(বুখারি : ২০২৪, মুসলিম : ১১৭৪)।

তাহলে কিভাবে রাতগুলো পালন করবো সেটা আমরা স্পষ্টই বুঝতে পারছি।
এই রাতগুলোতে আমরা বিশেষত :
১-বেশী বেশী সলাত আদায় করা,
২-কুরআন তিলায়ত করা,
৩- তাসবিহ তাহলিল;
যেমন সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্,
আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা হাওলা ওয়া লা-কুওয়তা ইল্লা বিল্লাহ, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি এগুলো বেশী বেশী পাঠ করা,
 ৪- বেশী বেশী আল্লাহ তা’লার কাছে ক্ষমা
ভিক্ষা চাওয়া এবং মনের বিভিন্ন আকুতি তুলে ধরা,
 ৫- আল্লাহ তা’লার কাছে অতীতের পাপের জন্য বারবার ক্ষমা চাওয়া,
৬- সম্ভব হলে কিছু দান করা সহ যতো ভালো কাজ আছে সবই বেশি বেশী করার চেষ্টা করে মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জন করতেই হবে। সবাই
প্রস্তুতি গ্রহণ করুণ ইন-শা-আল্লাহ।
লাইলাতুল্ কদরের রাতে বেশী বেশী দুআ করুন। তন্মধ্যে সেই দুআটি বেশী বেশী পাঠ করা যা

নবী (সাঃ) মা আয়েশা (রাযিঃ)কে শিখিয়েছিলেন।
মা আয়েশা নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেনঃ
হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি লাইলাতুল কদর
লাভ করি, তাহলে কি দুআ করবো? তিনি (সাঃ) বলেনঃ বলবে, (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন
তুহিব্বুল্ আফওয়া ফা’ফু আন্নী”।
[আহমদ,৬/১৮২]

অর্থ, হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল।
ক্ষমা পছন্দ কর, তাই আমাকে ক্ষমা কর।
আসা করি সবাই উত্তর টা পেয়েছেন

Friday, June 28, 2019

June 28, 2019

🍀 *ঈদুল ফিতরের নামাযের পদ্ধতি*🍀???

*بسم الله الرحمن الرحيم*
ঈদুল ফিতরের নামাযের পদ্ধতি
 *নিয়ত :* আমি ঈদুল ফিতরের 2রাকাত ওয়াজিব নামায পড়ছি অতিরিক্ত ছয় তাকবীরের সহিত আল্লাহ্ র জন্য ইমামের পিছনে কা'বা শরীফের দিকে মুখ করে
*আল্লাহু আকবার*
 *বিঃদ্রঃ*নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা যরূরী নয় অন্তরের মধ্যে কল্পনা করাকেই নিয়ত বলে।
✅ ইমাম সাহেব তাকবীর *(আল্লাহু আকবার)*বলে হাত বাঁধবেন এবং সানা *(সুব্হা-নাকা আল্ল-হুম্মা অবিহামদিকা)* পড়বেন সেই সময় আমাদের কেও তাকবীর বলে হাত বাঁধতে হবে এবং সানা পড়তে হবে। অতঃপর ৩টি ওয়াজিব তাকবীর অতিরিক্ত হবে।
♻ *প্রথম তাকবীর* বলে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে হাত ছেড়ে দিতে হবে।
♻ *২য় তাকবীর* বলে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।
*৩য় তাকবীর* বলে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে আর ছাড়তে হবে না। হাত বেঁধে নিতে হবে।
অতঃপর ইমাম সাহেব ক্বিরাত পড়বেন অর্থাৎ সূরা ফাতিহাহ্ এবং তার সাথে কোনো সূরা মিলিয়ে রুকু সাজদাহ্ করে একরাকাত সম্পূর্ণ করবেন।
অতঃপর ইমাম সাহেব ২য় রাকাতে সূরা ফাতিহাহ্ এবং অন্য একটা সূরা পড়বেন। অতঃপর রুকুতে যাওয়ার পূর্বে ৩টি ওয়াজিব তাকবীর অতিরিক্ত বলবেন এইভাবে।
♻ *প্রথম তাকবীর* বলে হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।
♻ *২য় তাকবীর* বলে হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।
♻ *৩য় তাকবীর* বলে হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।
এই পর্যন্ত অতিরিক্ত ছয়টি ওয়াজিব তাকবীর সম্পূর্ণ হল।
অতঃপর চতুর্থ বার হাত না উঠিয়ে তাকবীর বলে রুকুতে যেতে হবে বাকি নামায যেমন হয় ওই ভাবে সালাম ফিরে শেষ করতে হবে।
নামাযের পরেই খুৎবা শুরু হবে
খুৎবার সময় চুপকরে খুৎবা শুনতে হবে।
এখান পর্যন্ত ঈদের নামায সম্পূর্ণ হল ।

অনেক ভাইকে দেখা যায় যারা তাকবীরের সময় ভুল করে তাই লিখলাম যদি কারও উপকার হয়।
খুব শেয়ার করুন যদি আপনার দ্বারায় কোনো একজনের নামায ঠিক হয়ে যায় কত সওয়াবের কথা ।
আল্লাহ্ আমাদের তৌফীক দান করুন । আ-মীন*


June 28, 2019

Devils are bright harram???(dab sine )

এই নৃত্যভঙ্গিটি খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে সারা বিশ্বেই। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেনা এই চিহ্নের মানেটা কি। এর পেছনে একটি অন্ধকার অতীত রয়েছে। এটিকে ড্যাব(DAB) সাইন বলা হয়। এর পূর্ণরূপ Devils are bright. যার অর্থ অনেকটা এররকম দাড়ায়-"শয়তানেরা চির উজ্জল"(নাউজুবিল্লাহ) এটা সাতানিসম বা শয়তানের পূজা কে প্রমোট করে। জঘন্যতম শিরকের একটি এটি। কারন এই চিহ্ন দ্বারা শয়তানকে সিজদাহ করা বোঝানো হয়। এটা আল্লাহ্‌-তায়ালাকে সিজদাহ করার বিপরীত। বর্তমানে তারকা খেলোয়াড়দের থেকে শুরু করে অনেকেই এই চিহ্নের অনুকরণ করছে। এটাকে ফান হিসেবে দেখছে। কিন্তু এই কালো ফান আপনার জাহান্নামে যাওয়ার কারন হতে পারে! এমনও হতে পারে এটি ইলুমিনাতি(Illuminati) বা শয়তানের পূজারিদের দ্বারা মুসলিমদের ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ছড়ানো। অনেক স্বনামধন্য তারকাদেরই এই দলের অন্তর্গত বলে ধরা হয়। সৌদিআরবে এই সাইন শো করা আইনগত দন্ডনীয়। একটাই অনুরোধ,না জেনে বুঝে কিছু অনুকরণ করতে যাবেন না। শেষে ক্ষতিটা হয়তো আপনারই হবে।

নবী পাক(সাঃ) বলেন -"আমার একদল উম্মত হবে যারা ইহুদী ও খৃষ্টানদের বিঘতে বিঘতে অনুসরণ করবে।এমন কি তারা যদি গভীর গর্তে পর্যন্ত যায়,তারা সেখানে ও যাবে।(বুখারী)"
যারা উপদেশ গ্রহন করে তারাই বুদ্ধিমান।(আল-কোরআন)
যারা মানতে নারায তাদের জন্য আফসোস!

Wednesday, June 26, 2019

June 26, 2019

পাপ : নিয়ামত থেকে বঞ্চিত করে???

❐ পাপ : নিয়ামত থেকে বঞ্চিত করে।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
.
ইবনুল কাইয়্যিম [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন,

''বান্দার জন্য অন্তর শক্ত হয়ে যাওয়া আর আল্লাহর সাথে সম্পর্কহীনতা চাইতে বড় শাস্তি আর হতে পারে না। এ জন্যই শক্ত অন্তরকে পুড়িয়ে ঝলসে দেওয়ার জন্যই জাহান্নামের আগুন সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহর সাথে সবচাইতে দূরত্বের,নড়বড়ে সম্পর্ক আল্লাহর সাথে সম্পর্কহীন হৃদয়ের সম্পর্ক।''
.
এক ব্যক্তি এক বার হাসান আল বসরি [রাহিমাহুল্লা]'র কাছে এসে জিজ্ঞেস করল,

"আপনি বলেছেন কেউ যদি অনবরত পাপ কাজ করে তাহলে আল্লাহ তাকে নিয়ামত থেকে বঞ্চিত করেন! আমি এমন সব পাপ করি যেগুলো আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
অথচ আমার কি নেই? সুন্দরী স্ত্রী, সুস্থ-সবল সন্তান- সন্তানাদি এবং প্রচুর অর্থ এবং জমিজামা এবং আমি একজন সুখী, সফল মানুষ!

এত পাপ করার পর ও আল্লাহ আমাকে কোন নিয়ামত থেকে বঞ্চিত করেননি! তাহলে আপনি কীভাবে এটা বলতে পারেন, পাপ কর্ম দ্বারা আল্লাহ নিয়ামত ছিনিয়ে নেন?"
.
হাসান বসরি [রাহিমাহুল্লাহ] ওই লোককে জিজ্ঞেস করলেন-

"আপনি কি কিয়ামুল লাইল(তাহাজ্জুদ) আদায় করেন?
আপনি কি আল্লাহর কাছে দুয়া করে তৃপ্তি পান?
আপনি কি আপনার নামাজে শান্তি পান?"
লোকটি উত্তর দিল, "না।"

হাসান বসরী [রহ] বললেন, "তাহলে আপনার জন্য এটাই শাস্তি হিসেবে যথেষ্ট যে আপনাকে আল্লাহ এতগুলো নিয়ামত থেকে বঞ্চিত করছেন অথচ আপনি এটা অনুভবই করছেন না, এটাকে শাস্তিই মনে করছেন না।"

 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
❐ সংগৃহীত।

▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂

❐ [ পেজে লাইক দিয়ে ও পোস্ট শেয়ার করে আপনিও দাওয়াতি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করুন।আমাদের কোনো কপিরাইট নেই। আপনি আমাদের পেজের কনটেন্টগুলো কপি করে ফেসবুক বা যেকোন মাধ্যমে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে প্রচার করতে পারেন। বিনা অনুমতিতে। ]
.
• রাসূল [ﷺ] বলেছেন,
“যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম-২৬৭৪,৬৮০৪]
.
#bn_islamiclifestyle
[পরকালের পাথেয় কুড়াবার উদ্দেশ্যে.....]
ISLAMIC THOUGHT
মানুষের অন্তরে

Friday, June 21, 2019

June 21, 2019

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজীলত ও নিয়ম??

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজীলত ও নিয়ম
👇🏻👇🏻👇🏻👇🏻👇🏻👇🏻
পবিত্র রমজানের পরবর্তী মাস এবং চন্দ্র মাসের দশম মাস হচ্ছে শাওয়াল। শাওয়াল মাসে অনেক আমল রয়েছে এসব আমলের ফজীলত-ও অনেক বেশী। নিম্নে শাওয়াল মাসের আমল ও ফজীলত সর্ম্পকে সংক্ষিপ্তভাবে আলোকপাত করার প্রয়াস করলাম ।
শাওয়াল শব্দের বিশ্লেষণ : শাওয়াল শব্দটি ‘শাওলুন’থেকে এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে বের হওয়া। যেহেতু এ মাসে আরববাসী আনন্দ-উল্লাসের জন্য ভ্রমণে বের হয় এজন্য শাওয়ালকে শাওয়াল বলা হয়। [গিয়াসুল্লুগাত-২৮৭]
শাওয়ালের আমল : শাওয়াল মাসের গুরত্বপূর্ণ একটি আমল হচ্ছে শাওয়ালের ‘ছয় রোজা’। রমজানের ফরজ রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখা মুস্তাহাব। আর এ রোজাকে শাওয়ালের ছয় রোজা বলে। এই রোজার অনেক ফজীলত রয়েছে যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত । রাসুল আকরাম সা: নিজে এ রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকে ও রাখার জন্য নির্দেশ দিতেন ।
শাওয়ালের রোজার ফজীলত: এই রোজার ফজীলত সর্ম্পকে রাসুলুল্লাহ সা: হাদিসের মধ্যে ইরশাদ করেন,“যারা মাহে রমজানের ফরজ রোজা রাখবে,অতপর মাহে শাওয়ালের ছয় রোজা রাখবে তারা সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব অর্জন করবে। [মুসলিম শরীফ :১ম.খন্ড ৩৬৯পৃ:]
এ রোজার ফজীলত সম্পর্কে রাসুল সা: আরো ইরশাদ করেন,“ যারা পবিত্র রমজানের রোজা রাখার পর শাওয়ালের আরো ছয়টি রোজা রাখবে তারা সেই ব্যক্তির মত হয়ে যাবে যে ব্যক্তি সদ্য তার মায়ের পেঠ থেকে দুনিয়াতে আগমণ করেছে। অর্থাৎ সে শিশু যেভাবে পুত-পবিত্র তথা নিষ্পাপ, তার কোন গোনাহ নেই, যারা শাওয়ালের ছয় রোজা রাখবে তারা ও সেই নিষ্পাপ শিশুর মত হয়ে যাবে ।  [তিরমিযী শরিফ]
হযরত উবাইদুল্লাহ রা: থেকে বর্ণিত.তিনি বলেন, একদিন রাসুল সা: কে জিজ্ঞাসা করলাম ,ইয়া রাসুলাল্লাহ আমি কি সারা বছর রোজা রাখতে পারব? তখন রাসুল সা: বললেন,“তোমার উপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে”,কাজেই তুমি সারা বছর রোজা না রেখে. রমজানের রোজা রাখ এবং রমজানের পরবর্তী মাস শাওয়ালের ছয় রোজা রাখ, তাহলেই তুমি সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাবে। [তিরমিযি শরিফ:১ম খন্ড.১৫৭পৃ:]
এই হাদিসে বলা হয়েছে যে, রমজানের রোজা রাখার পর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখলে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যাবে। এই সওয়াব এভাবে যে, মহান রাব্বুল আলামিন মানবতার মুক্তির সনদ মহা গ্রন্থ আল কুরআন কারীমের সুরায়ে আনআমের ১৬০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, “যে লোক একটি নেক কর্ম আঞ্জাম দিবে সে লোক দশগুণ বেশী সওয়াব পাবে। সে হিসেবে রমজানের ত্রিশ রোজায় তিনশত রোজার সওয়াব হয়। আর মাহে শাওয়ালের ছয় রোজায় ষাট রোজার সওয়াব হয়। এভাবে রমজানের ৩০ রোজা এবং শাওয়ালের ৬ রোজা মোট ৩৬ রোজা দশ দিয়ে গুণ দিলে ৩৬০ রোজার সমান হয়ে যায়, আর ৩৬০ দিনে এক বছর। সুতরাং ৩৬ টি রোজায় সারা রছর রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়।
শাওয়ালের রোজা রাখার নিয়ম: শাওয়ালের ছয় রোজা শাওয়াল মাসেই শুরু করে শেষ করতে হবে। ধারাবাহিকভাবে ছয় দিনে ছয় রোজা রাখা যায় আবার মাঝে ফাক রেখে পৃথকভাবেও রাখা যায়। উল্লেখ্য যে, শাওয়ালের ছয় রোজার সওয়াব তারা পাবে যারা রমজানের রোজা সঠিকভাবে পালন করেছে। কারণ রমজানের রোজা হচ্ছে ফরজ আর শাওয়ালের রোযা হল মুস্তাহাব। মুস্তাহাবের সওয়াব তখনই পাওয়া যায় যখন ফরজ পালন করা হবে ।
আমাদের সমাজ আজ বিভিন্ন ধরণের গোমরাহিতে নিমজ্জিত। অনেক লোক এমন আছে যারা রমজানের ফরজ রোজা, ফরজ নামাজ, ইত্যাদি পালন করেনা কিন্তু নফল আমল নিয়ে বাড়াবাড়ি করে। গত রমজান মাসের দুপুর বেলায় আমাদের এলাকার এক ভ্রদ্র লোকের সাথে হঠাৎ আমার দেখা, দেখলাম এই লোকটি সিগারেট খাচ্ছে, জিজ্ঞাস করলাম ভাই রমজান মাসে আপনি একি করছেন? সে আমাকে বলল ভাই আমার গ্যাস্ট্রিক যার কারণে আমি রোজা রাখতে পারিনি । ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন পর আবার সেই লোকটির সাথে হঠাৎ আমার দেখা, সে আমাকে বলল ভাই আপনি শাওয়ালের ছয় রোজা রাখছেন কী? আমি বললাম আপনি রাখছেন? সে বলল আরে মিয়া আমি না রেখে আপনাকে বলছিনাকি। আমি তাকে বললাম ভাই এখন কি আপনার গ্যাস্ট্রিক নেই? সে বলল ভাই শাওয়ালের রোজাতো মাত্র ৬ টি এবং তার ফজীলতও বেশী এসব কারণে রাখলাম ।
এটাও জেনে রাখা ভাল যে, শাওয়াল মাসে এ ৬ টি রোজা মাসের যেকোন দিন রাখা যায়। মাসের শুরুতে রাখা যায়, আবার মাসের মধ্যে বা মাসের শেষে যেকোন সময় তথা যেকোন দিন রোজা রাখা যায়। যার যার সুযোগ-সুবিধা মত এক সাথে ছয় রোজা, আবার আলাদা আলাদা করেও রাখা যায়। এমনকি শাওয়ালের ভিতরে ছয়টি রোজা রাখলেই হবে ।
শাওয়ালের ছয়টি রোজা নিয়ে আমাদের সমাজে ভ্রান্ত কিছু ধারণা ও কুসংস্কার দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করে এ ছয় রোজা শুধু মাত্র মহিলারা রাখবে, বুড়ো ও পুরুষ লোক রাখবেনা। আবার কেউ কেউ মনে করে এ রোজা একবার রাখলে প্রতি বছরই রাখতে হবে। এছাড়া ও আরো বেশ কিছু কুসংস্কার সমাজে দেখা দিয়েছে ।
বাস্তবতা হচ্ছে ইসলামী শরীয়তে এহেন কোন বিধান আরোপ করেনি। ঐসব কিছু হচ্ছে কুসংস্কার ও কুপ্রথা তথা ভ্রান্ত বিশ্বাস। শাওয়ালের রোজা পুরুষ, মহিলা, যুবক, বৃদ্ধসহ সকলেই রাখতে পারবে। আবার একবার রাখলে বারবার তথা প্রতি বছর রাখতে হবে এইরকম কোন বিধি-বিধান শরীয়তে নেই । ইচ্ছা হলে প্রতি বছর রাখতে পারবেন অথবা নাও রাখতে পারবেন, এটা যার যার ইচ্ছা। এটা মুস্তাহাব, ফরজ নয়। যেহেতু রাসুলের হাদিস দ্বারা এই ছয় রোজার অনেক ফজীলত পাওয়া গেল এবং রাসুল সা. নিজেও শাওয়ালের এ ছয় রোজা রাখতেন এবং উম্মতকে রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, সেজন্য এ রোজা রাখা আমাদের জন্য উচিত। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে যেন শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা এখলাসের সাথে রাখার তাওফিক দান করেন। আমিন ।
June 21, 2019

✒ফেইসবুক ব্যবহার কখন হারাম????

✒ফেইসবুক ব্যবহার কখন হারাম!!

(১) ফেইজবুকের নেশা যখন আমার নামাযকে বিলম্বিত করিয়ে দেয়। ফেইজবুক তখন হারাম।

(২) যখন আমার ওয়ালে/পেইজে অনৈসলামিক কিছু থাকে, আল্লাহ নারাজ হন এমন কিছু থাকে, তখনো ফেইজবুক হারাম।

(৩) যখন আমার প্রোফাইল পিকচারে একজন উলঙ্গ বা অর্ধোলঙ্গ নারীর ছবি থাকে, তখনো ফেইজবুক হারাম।

(৪) যখন ফেইজবুক আমাকে আল্লাহর যিকির ও কুরআন তিলাওয়াত থেকে দূরে সরিয়ে রাখে, তখনো ফেইজবুক হারাম।

(৫) যখন ফেইজবুকের পুরো সময়টাই অনর্থক চ্যাট, অনর্থক ঝগড়া-গালিতে ব্যয় হয়, তখনো ফেইজবুক হারাম।

(৬) ফেসবুক যখন বেগানা নারী বা পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কের মাধ্যম হয়, তখনো ফেইজবুক হারাম।

✒ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন
"সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তা সংরক্ষণ করে রাখার জন্যে তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী আছে।"
___________(ক্বাফ:১৮)

50:23

وَقَالَ قَرِينُهُۥ هٰذَا مَا لَدَىَّ عَتِيدٌ

আর তার সাথী (ফেরেশতা) বলবে, এই তো আমার কাছে (আমল নামা) প্রস্তুত।

50:29

مَا يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَىَّ وَمَآ أَنَا۠ بِظَلّٰمٍ لِّلْعَبِيدِ

‘আমার কাছে কথা রদবদল হয় না, আর আমি বান্দার প্রতি যুলমকারীও নই’।

ফেইজবুকে পার করা সময়টা যেনো নেকী হিসাবে হাশরের দিনে মিজানের পাল্লায় উঠানো যাই সেই চেষ্টায় হোক আমাদের সকলের কাম্য। আমীন।
June 21, 2019

ফেসবুকে ছবি আপলোড, কবিরা নাকি ছগিরা গুনাহ …?

ফেসবুকে ছবি আপলোড, কবিরা নাকি ছগিরা গুনাহ …?

আপনার জিজ্ঞাসার ১৯৬৪তম পর্বে ফেসবুকে ছবি আপলোড করলে গুনাহ হবে কি না, সে সম্পর্কে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ইমেইলে জানতে চেয়েছেন মোহাম্মদ ইয়াসিন। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন :
ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ছবি আপলোড করলে কি গুনাহ হবে? ইসলাম এটাকে কি গুনাহ হিসাব করে? কবিরা নাকি ছগিরা গুনাহ?

উত্তর : একবারে অপ্রয়োজনীয় কাজে নিজেকে লিপ্ত করা জায়েজ নেই। ইমানদার ব্যক্তিরা যেকোনো ধরনের অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে নিজেরা বিরত থাকবেন।

আল্লাহ তায়ালা সুরা মুমিনুনের মধ্যে ইমানদার ব্যক্তিদের বৈশিষ্ট্যের বিষয়ে এরশাদ করেন—ওয়াল্লাজিনাহুম আনিল্লাগবি মু’রিদুন (আর সেই সমস্ত লোকেরা, যারা বেহুদা কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখে)। ইমানদার ব্যক্তিরা মূলত বেহুদা কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখবে।

তবে, আপনি যদি মনে করেন যে, ফেসবুকে আপনার অনেক ডকুমেন্টারির বিষয় আছে, অথবা ডকুমেন্ট হিসেবে কোনো অনুষ্ঠানের ছবি যদি আপনি আপলোড করতে চান, সেটা ভিন্ন বিষয়। প্রয়োজনের তাগিদে সেটা কখনো কখনো জায়েজ হবে।

আবার অনেক সময় এ রকম ছবি দেওয়া হয়, যেটা মানুষের নৈতিক বা পবিত্র চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক, সেই ধরনের ছবি আপলোড করা যাবে না। দেখা যায়, অনেকে‌ তাদের পরিবারের ছবি দিয়ে দিচ্ছে, খারাপ ছবি দিচ্ছে বা এমন ছবি দিচ্ছে যেটা সবাইকে দেখানো উচিত নয়, এগুলো আপলোড করা হালাল হওয়ার কোনো সংগত দলিল নেই। বরং এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় ছবি আপলোড করা নাজায়েজ হবে, জায়েজ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

Thursday, June 20, 2019

June 20, 2019

বিয়ের আগে নারী-পুরুষের প্রেম কি জায়েয ?

বিয়ের আগে নারী-পুরুষের প্রেম সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ?
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

বিবাহ পূর্ব প্রেম হারাম। আল্লাহ বলেন -
• "তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়।" (সূরা মায়িদা : ৫)
সুতরাং তারা স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না ।

পর্দার আয়াতে আল্লাহ বলেন -
• মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। (সূরা নুর 30)
এখানে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে।

• "ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।" (সূরা নুর 31)
এখানে নারীদেরও একই কথা বলা হয়েছে, পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর নারীরা কাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে তাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে

• হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। (সূরা আহযাব 32)
• হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব 33:59)
এখানে পর্দাকরার নির্দেশ আরো পরিস্কার ভাষায় বলা হয়েছে। নবীপত্নীদের উল্লেখ করা হলেও তা সকল মুসলিম নারীর উপর প্রযোজ্য ।

যেখানে দৃষ্টি নীচু ও সংযত রাখা,কোমল ভাবে কথা না বলা, লজ্জা স্থান হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর সূরা মায়িদাতে গোপন প্রেমলীলাকে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে বিবাহ পূর্ব প্রেম বৈধ হতে পারে কি করে? এটা হারাম।

ব্যভিচারের ব্যপারে আল্লাহ আরো বলেন ।
• আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। (সূরা বনী ইসরাইল 32)
জিনার নিকট যাওয়াই নিষেধ অর্থাৎ যে সকল জিনিস জিনার নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে যাওয়াই নিষেধ। বিবাহ পূর্ব প্রেম নর-নারীকে জিনার নিকটবর্তী করে দেয় আর জিনা মারাত্মক একটি কবিরা গুণাহ।আল্লাহ বলেন -
• এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে। কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে। (সূরা ফুরকান 68- 69)

বিবাহপূর্ব প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ বলেন -
• আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হ’ত যদি এ জালেমরা পার্থিব কোন কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর। ( সূরা বাকারা 165)

ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে প্রেম তৈরি হবে তখনই যখন তারা দুজনই হিজাব ভঙ্গ করলে । কোন একজন যদি হিজাব কোনমতেই ভঙ্গ না করে তবে কোন মতেই প্রেম দাঁড়াবে না । যেসব ছেলে মেয়ের অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে তারা হিজাব কোনমতেই ভঙ্গ করে না । মনে মনে কাউকে ভাল লাগলেও তারা হিজাব ভঙ্গ করে পথচ্যুত হয় না । হিজাব মানে শুধু পোশাক নয় । পোষাক থকে আচার- আচরণ পর্যন্ত সব কিছুই এর অন্তর্ভূক্ত । তারা বিয়ের প্রস্তাব দেয় তা না হলে সবর করে ।

মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনদের এই হারাম কাজ থেকে হিফাজত করুন। আমিন
June 20, 2019

মাথার চুল অসমান করে কাটা হারাম?????

মাথার চুল অসমান করে কাটা হারাম?????

চুলের ক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ হচ্ছে– সবগুলো চুল রেখে দেওয়া কিংবা সবগুলো চুল ফেলে দেওয়া। এমন ছিল না যে, তিনি কিছু অংশের চুল কামাই করতেন; আর কিছু অংশের চুল রেখে দিতেন।


বর্তমান যামানায় কিছু কিছু মুসলমান যা করে– মাথার কিছু অংশের চুল কামাই করে, কিছু অংশ রেখে দেয় এটি ‘কুযা’এর অন্তর্ভুক্ত, যা করতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন। এই ‘কুযা’ কয়েক প্রকার হতে পারে:

১। মাথার কিছু কিছু জায়গার চুল কামাই করে অপর কিছু কিছু জায়গা রেখে দেওয়া।

২। মাথার সাইডের চুলগুলো কামাই করে মাঝখানের চুলগুলো রেখে দেওয়া।

৩। মাথার মাঝখানের চুলগুলো কামাই করে সাইডের চুলগুলো রেখে দেওয়া।

৪। মাথার সামনের চুলগুলো কামাই করে পিছনের চুলগুলো রেখে দেওয়া।

৫। মাথার পিছনের চুলগুলো কামাই করে সামনের চুলগুলো রেখে দেওয়া।

৬। মাথার এক পার্শ্বের কিছু চুল কামাই করে বাকীগুলো রেখে দেওয়া।

সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে ইবনে উমর (রাঃ) থেকে সাব্যস্ত হাদিসে এ সবগুলো স্টাইল হারাম হওয়ার প্রমাণ রয়েছে। সে হাদিসে এসেছে যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘কুযা’ করা থেকে তথা শিশুর মাথার একাংশের চুল কামাই করে অপর অংশের চুল রেখে দিতে নিষেধ করেছেন। ইবনে উমর (রাঃ) থেকে আরও বর্ণিত আছে যে, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখলেন যে, এক শিশুর মাথার কিছু চুল কামাই করা হয়েছে, আর কিছু চুল রেখে দেওয়া হয়েছে তখন তিনি তাদেরকে এরূপ করতে বারণ করেন। তিনি বলেন: “তোমরা সম্পূর্ণ মাথা কামাই করবে, কিংবা সম্পূর্ণ মাথার চুল রেখে দিবে।” উমর (রাঃ) থেকে মারফু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, “শিঙ্গা লাগানো ব্যতীত মাথার শুধু পিছনের দিকের চুল কামাই করা অগ্নি উপাসকদের বৈশিষ্ট্য”। সুনানে আবু দাউদে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি এক বালকের দুইটি বেণী দেখে কিংবা দুইটি জুটি দেখে বললেন: এই দুইটি কামাই করে ফেল কিংবা ছাটাই করে ফেল। কেননা এটা ইহুদীদের স্টাইল।”। মারওয়াযি বলেন: আমি আবু আব্দুল্লাহ্‌কে (আহমাদ ইবনে হাম্বলকে) মাথার পিছনের চুল কামাই করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন: এটি অগ্নিপুজারীদের কাজ। যে ব্যক্তি যাদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করবে সে তাদেরই দলভুক্ত।

Wednesday, June 19, 2019

June 19, 2019

কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত কি রকম ফজীলত???

কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত কি??
উত্তর::-
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তাঁর দরজার দিকে আহ্বান করেন, যাকে চান তিনি সঠিক পথের দিশা দেন, নিজের কিতাব নাযিলের মধ্য দিয়ে যিনি নেয়ামতধন্য করেন, যে কিতাব ‘মুহকাম’ ও ‘মুতাশাবিহ’ সংবলিত, ফলে যাদের অন্তরে রয়েছে সত্যবিমুখ প্রবণতা তারা মুতাশাবিহ্ আয়াতগুলোর পেছনে লেগে থাকে। আর যারা জ্ঞানে পরিপক্ক, তারা বলে, আমরা এগুলোর প্রতি ঈমান আনলাম। আমি তাঁর প্রশংসা করি এ জন্য যে তিনি আমাকে সুপথের সন্ধান দিয়েছেন এবং এর উপায়-উপকরণ সহজলভ্য করেছেন।
আর সাক্ষ্য দিচ্ছি যে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, এমন সাক্ষ্য দিচ্ছি যা দ্বারা আমি তাঁর শাস্তি থেকে নাজাত প্রত্যাশা করি, আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল, যিনি পৃথিবীতে আগমন ও পৃথিবী থেকে গমনকালে কার্যক্ষেত্রে ছিলেন সবচে পূর্ণাঙ্গ মানুষ।
দরূদ বর্ষিত হোক তাঁর ওপর, গারে হেরায় তার পরম সঙ্গী শ্রেষ্ঠ সাহাবী আবূ বকরের ওপর, উমরের ওপর যার মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর দীনকে সম্মানিত করেছেন এবং দুনিয়াকে তার দ্বারা অবিচল রেখেছেন, উসমানের ওপর যিনি নিজ বাসায় ও নিজ মিহরাবে শহীদ হয়েছেন, আলীর ওপর যিনি ইলমী বিষয়ের জটিলতা নিরসন ও অপ্রকাশ্য গূঢ় বিষয় উন্মোচনকারী, আর নবীর পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবীর ওপর যারা তাঁর প্রিয়জন ছিলেন। আর তাঁর উপর যথাযথ সালাম প্রদান করুন।
    আমার ভাইয়েরা!
* আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ يَتۡلُونَ كِتَٰبَ ٱللَّهِ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَنفَقُواْ مِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ سِرّٗا وَعَلَانِيَةٗ يَرۡجُونَ تِجَٰرَةٗ لَّن تَبُورَ ٢٩ لِيُوَفِّيَهُمۡ أُجُورَهُمۡ وَيَزِيدَهُم مِّن فَضۡلِهِۦٓۚ إِنَّهُۥ غَفُورٞ شَكُورٞ ٣٠ ﴾ [فاطر: ٢٩،  ٣٠]
‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে, আমার দেয়া রিযিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে এমন ব্যবসার, যা কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা, কারণ আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরো অধিক দান করবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ (সূরা আল-ফাতির, আয়াত: ২৯-৩০)
    আল্লাহর কিতাবের তিলাওয়াত দু’প্রকার। যথা-
১। প্রথম প্রকার: হুকমী তিলাওয়াত। এটা হলো আল্লাহর কথাকে বিশ্বাস করা, তাঁর নির্দেশ মেনে নিয়ে তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ থেকে বর্জন করে কিতাব তথা আল কুরআনের সকল হুকুম-আহকাম বাস্তবায়ন করা। এ বিষয়ে অন্য আসরে বিস্তারিত আলোচনা আসবে ইনশাআল্লাহ।
২। দ্বিতীয় প্রকার: শাব্দিক তিলাওয়াত। এটা হলো আল কুরআন পাঠ করা। এর ফযীলতের ব্যাপারে কুরআন ও সুন্নাহ হতে অনেক দলীল প্রমাণ রয়েছে। ফযীলত হয়তো পুরা কুরআনের ব্যাপারে আবার হয়তো নির্দিষ্ট কোনো সূরার ব্যাপারে রয়েছে আবার কখনো হয়তো নির্দিষ্ট কোনো আয়াতের ব্যাপারে রয়েছে।
* যেমন বুখারী ও মুসলিমে উসমান ইবন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ القُرْآنَ وَعَلَّمَهُ»
“তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি যিনি কুরআন মাজীদ শিক্ষা করেন এবং অন্যকে শিক্ষা দেন।”[1]
* বুখারী ও মুসলিমে আরো বর্ণিত হয়েছে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:  
«الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَالَّذِى يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ ».
“আল-কুরআনে দক্ষ ও পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ সম্মানিত পুণ্যবান ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবেন। যে ব্যক্তি কুরআন আটকে আটকে তিলাওয়াত করে এবং তা তার জন্য কষ্টকর হয়, তার জন্য দু’টি প্রতিদান রয়েছে।”[2]
দুটি প্রতিদানের প্রথমটি হলো: তিলাওয়াতের, দ্বিতীয়টি হলো: পাঠকারীর কষ্টের।
* অনুরূপভাবে বুখারী ও মুসলিমে আবু মূসা আল-আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:  
«مَثَلُ المُؤْمِنِ الَّذِي يَقْرَأُ القُرْآنَ كَمَثَلِ الأُتْرُجَّةِ، رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا طَيِّبٌ، وَمَثَلُ المُؤْمِنِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ القُرْآنَ كَمَثَلِ التَّمْرَةِ، لاَ رِيحَ لَهَا وَطَعْمُهَا حُلْوٌ، »
“যে মুমিন কুরআন তিলাওয়াত করে তার দৃষ্টান্ত কমলালেবুর মত, যা সুস্বাদু ও সুঘ্রাণযুক্ত। আর যে মুমিন কুরআন তিলাওয়াত করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের ন্যায় যার কোনো ঘ্রাণ নেই কিন্তু তার স্বাদ মিষ্টি।”[3]
* তাছাড়া সহীহ মুসলিমে আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لِأَصْحَابِهِ» .
“তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর। কেননা কুরআন কিয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে।”[4]
* অনুরূপভাবে সহীহ মুসলিমে উকবা ইবন ‘আমের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«أَفَلَا يَغْدُو أَحَدُكُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ فَيَعْلَمُ، أَوْ يَقْرَأُ آيَتَيْنِ مِنْ كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ، خَيْرٌ لَهُ مِنْ نَاقَتَيْنِ، وَثَلَاثٌ خَيْرٌ لَهُ مِنْ ثَلَاثٍ، وَأَرْبَعٌ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَرْبَعٍ، وَمِنْ أَعْدَادِهِنَّ مِنَ الْإِبِلِ»
“তোমাদের কেউ কি এরূপ করতে পার না যে, সকালে মসজিদে গিয়ে মহান আল্লাহ্‌র কিতাব থেকে দুটো আয়াত জানবে অথবা পড়বে; এটা তার জন্য দু’টো উষ্ট্রীর তুলনায় উত্তম। আর তিনটি আয়াত তিনটি উষ্ট্রী থেকে উত্তম, চারটি আয়াত চারটি উষ্ট্রী থেকে উত্তম। আর (শুধু উষ্ট্রীই নয়, বরং একইসাথে) সমসংখ্যক উট লাভ করা থেকেও তা উত্তম হবে।”[5]
* তদ্রূপ সহীহ মুসলিমে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত  হাদীসে রয়েছে, তিনি বলেন, নিশ্চয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«مَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِي بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللَّهِ تَعَالَى، يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَيَتَدَارَسُونَهُ بَيْنَهُمْ، إِلَّا نَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ، وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ، وَحَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ»
“যখন আল্লাহর কোনো ঘরে (মসজিদে) লোকজন একত্রিত হয়ে কুরআন তিলাওয়াত করে এবং নিজেদের মাঝে তা অধ্যয়ণ করে, তখন তাদের ওপর প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়, আল্লাহর রহমত তাদেরকে আবৃত করে রাখে, ফেরেশতাগণ তাদের বেষ্টন করে রাখেন এবং আল্লাহ তাঁর কাছে অবস্থিত ফেরেশতাদের কাছে তাদের আলোচনা করেন।”[6]
* তাছাড়া আরো এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«تَعَاهَدُوا هَذَا الْقُرْآنَ، فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَهُوَ أَشَدُّ تَفَلُّتًا مِنَ الْإِبِلِ فِي عُقُلِهَا» .
“তোমরা কুরআনের যথাযথ যত্ন নাও, তা হিফাযত ও সংরক্ষণ কর। ওই সত্তার শপথ! যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন, অবশ্যই উট তার রশি থেকে যেমন দ্রুত পালিয়ে যায় তার চেয়েও আরো তীব্র বেগে এ কুরআন চলে যায়। (অর্থাৎ কুরআনের প্রতি যত্নবান না হলে কুরআন স্মৃতি থেকে দ্রুত চলে যাবে।)”[7]
* রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:
«لَا يَقُلْ أَحَدُكُمْ نَسِيتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ، بَلْ هُوَ نُسِّيَ»
“তোমাদের কেউ যেন না বলে আমি অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি। বরং তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে।’[8]
হাদীসে نسيت ‘আমি ভুলে গেছি’ এ কথা বলবে না এজন্য যে, এতে করে কুরআন মুখস্থ করার পর গুরুত্বহীনতার কারণে ভুলে গেছে বুঝা যায়। তাই এভাবে বলা যাবে না।
* অনুরূপ আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ، وَالحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا، لَا أَقُولُ الم حَرْفٌ، وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ»
“যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ (অক্ষর) পাঠ করবে, তাকে একটি নেকী প্রদান করা হবে। আর প্রতিটি নেকী দশগুণ বৃদ্ধি করা হবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটি হরফ।”[9]
* আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলেন:
«إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ مَأْدُبَةُ اللَّهِ فَاقْبَلُوا مِنْ مَأْدُبَتِهِ مَا اسْتَطَعْتُمْ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ حَبْلُ اللَّهِ، وَالنُّورُ الْمُبِينُ، وَالشِّفَاءُ النَّافِعُ عِصْمَةٌ لِمَنْ تَمَسَّكَ بِهِ، وَنَجَاةٌ لِمَنْ تَبِعَهُ، لَا يَزِيغُ فَيُسْتَعْتَبَ، وَلَا يَعْوَجُّ فَيُقَوَّمُ، وَلَا تَنْقَضِي عَجَائِبُهُ، وَلَا يَخْلَقُ مِنْ كَثْرَةِ الرَّدِّ، اتْلُوهُ فَإِنَّ اللَّهَ يَأْجُرُكُمْ عَلَى تِلَاوَتِهِ كُلَّ حَرْفٍ عَشْرَ حَسَنَاتٍ، أَمَا إِنِّي لَا أَقُولُ الم حَرْفٌ، وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ» .
‘নিশ্চয়ই এ কুরআন আল্লাহর দস্তরখান। তোমরা যথাসম্ভব তার দস্তরখান থেকে গ্রহণ কর। এ মহাগ্রন্থ আল-কুরআন আল্লাহর মজবুত রশি, সুদীপ্ত জ্যোতি, উত্তম নিরাময়কারী, যে তা আঁকড়ে ধরবে তার জন্য কুরআন ত্রাতা, যে অনুসরণ করে তা তার জন্য নাজাত ও মুক্তির মাধ্যম। সে সত্য থেকে এমনভাবে বিচ্যুত হবে না যে তাকে ভর্ৎসনা করা হবে। সে বক্র পথে এমনভাবে যাবে না যে তাকে সোজা করতে হবে। কুরআনের বিস্ময়ের শেষ নেই। অধিক পুনরাবৃত্তির কারণে তা পুরাতন হয় না (অর্থাৎ কুরআনের আয়াতের পুনরাবৃত্তি হলেও তাতে নতুনত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। কারণ তার আবেদন চিরন্তন।) তোমরা কুরআন তিলাওয়াত করো, কারণ আল্লাহ তোমাদেরকে তিলাওয়াতকৃত প্রতিটি হরফের বিনিময়ে দশটি করে নেকী দেবেন। জেনে রাখ, আমি বলি না আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ, বরং আলিফ একটি, লাম একটি, এবং মীম একটি হরফ।”[10]আমার ভাইয়েরা! এই হলো আল-কুরআন পাঠের ফযীলত। অল্প আমলে অধিক সাওয়াব, তবে তা শুধু সে লোকের জন্যই যে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর পক্ষ থেকে সাওয়াব কামনা করে। সুতরাং প্রতারিত ও প্রবঞ্চিত সেই ব্যক্তি যে কুরআনের ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করে। আর সে লোকই তো ক্ষতিগ্রস্ত যে লাভ এমনভাবে হাতছাড়া হয়ে গেছে যে সে সেটাকে আর কাটিয়ে উঠতে পারে নি। এই যে ফযীলতসমূহের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তার গোটা কুরআনকেই শামিল করে।


June 19, 2019

Islamic question

*সালামের সঠিক উচ্চারন কি হবে?*
~~~~~♥
আমরা প্রতিদিন অনেককেই এভাবে সালাম দিতে শুনি যে, স্লামালাইকুম, সালামালাইকুম, আস্লামালাইকুম , সেলামালাইকুম,
আস্লামো আলাই, আসসামালাইকুম ইত্যাদি।

*আবার উত্তর দেয়ার সময়ও শোনা যায় ভুল শব্দের ব্যবহার। যেমন, অলাইকুম সালাম; অলাইকুম আস-সালাম ইত্যাদি।

*সালামের সঠিক উচ্চারণ হলো,*

 السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ

*আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি, ওয়া বার-কাতুহ্।*

وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ

*‘ওয়া আলাইকুমুস-সালাম, ওয়া রহমাতুল্লাহি, ওয়া বার-কাতুহ্।*
(আরবী উচ্চারণ একটু কঠিন তাই জানা কারো কাছ থেকে শিখে নিলে ভালো হয়)

আমরা অনেক সময়ই সালামের পূর্ণ জবাব দিতে কার্পণ্য করে থাকি। পুরো উত্তর বলি না, অথবা ভুল উত্তর দেই। অথচ আল্লাহ তাআলা কুরআনেই শিখিয়েছেন; কেউ সালাম দিলে তার চেয়ে উত্তম শব্দে উত্তর দিতে।

*আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ হিসাবকারী।* -(আন-নিসা; ৪:৮৬)

সহীহ হাদীছে এসেছে,

ইমরান ইবনু হুসাইন (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, *একদিন একব্যক্তি নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে এসে বলে, আসসলামু আলাইকুম। নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার সালামের জবাব দিলে সে ব্যক্তি বসে পড়ে। তখন নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, সে দশটি নেকী পেয়েছে। এর পর একব্যক্তি এসে বলে, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। তিনি তার সালামের জবাব দিলে, সে ব্যক্তি বসে পড়ে। তখন নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, সে বিশটি নেকী পেয়েছে। এপর এক ব্যক্তি এসে বলে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাক‘আতুহু। নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার সালামের জবাব দিলে সে বসে পড়ে। তখন তিনি বলেন, সে ত্রিশটি নেকী পেয়েছে*।
-(আবূ দাঊদ-৫১৯৫, আলবানী বলেন, হাদীছটি সহীহ; আল-আরনাঊত বলেন, হাসান)

*আল্লাহ্ আমাদের সকলকে সঠিকভাবে সালাম উচ্চারণের তাওফীক দান করুক। আমীন।*
June 19, 2019

নেতার মতো নেতা একজনই ছিলেন তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা:))

নেতার মতো নেতা একজনই
                ছিলেন তিনি হলেন
হযরত মুহাম্মদ (সা:)