f

Personal Loan, Home Loan, Business Loan, Life Insurance

Breaking

Google search

Translate

Showing posts with label পর্ণ গ্রফি থেকে বাঁচার উপায়. Show all posts
Showing posts with label পর্ণ গ্রফি থেকে বাঁচার উপায়. Show all posts

Sunday, August 25, 2019

August 25, 2019

নারী-পুরুষের নির্জনবাস?


নারী-পুরুষের নির্জনবাস???

কোন নির্জন স্থানে একাকী বাস, কিছু ক্ষণের জন্যও লোক-চক্ষুর অন্তরালে, ঘরের ভিতরে, পর্দার আড়ালে একান্তে অবস্থান শরীয়তে হারাম। যেহেতু তা ব্যভিচার না হলেও ব্যভিচারের নিকটবর্তী করে, ব্যভিচারের ভূমিকা অবতারণায় সহায়িকা হয়। আল্লাহর নবী (সাঃ) বলেন, ‘‘কোন পুরুষ যেন কোন নারীর সাথে একান্তে গোপনে অবস্থান না করে। কারণ, শয়তান উভয়ের কুটনী হয়।’’[2]
এ ব্যাপারে সমাজে অধিক শৈথিল্য পরিলক্ষিত হয় দেওর-ভাবী ও শালী-বুনাই-এর ক্ষেত্রে। অথচ এদের মাঝেই বিপর্যয় ঘটে অধিক। কারণ ‘পর চোরকে পার আছে, ঘর চোরকে পার নাই।’ তাই তো আল্লাহর নবী (সাঃ) মহিলাদের পক্ষে  তাদের দেওরকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করেছেন।’’[3]
অতএব দেওরের সাথে মায়ের বাড়ি, ডাক্তারখানা, অনুরূপ বুনাই-এর সাথে বোনের বাড়ি, ডাক্তারখানা বা কোন বিলাস-বিহারে যাওয়া-আসা এক মারাত্মক বিস্ফোরক প্রথা বা ফ্যাশন।
তদনুরূপ তাদের সাথে কোন কামরা বা স্থানে নির্জনতা অবলম্বন, বাড়ির দাসী বা দাসের সাথে গৃহকর্তা বা কর্ত্রী অথবা তাদের ছেলে-মেয়ের সাথে নিভৃতবাস, বাগদত্ত বরকনের একান্তে আলাপ বা গমন, বন্ধু-বান্ধবীর একত্রে নির্জনবাস, লিফ্টে কোন বেগানা  যুবক-যুবতীর একান্তে উঠা-নামা, ডাক্তার ও নার্সের একান্তে চেম্বারে অবস্থান, টিউটর ও ছাত্রীর একান্তে নির্জনবাস ও পড়াশোনা,  স্বামীর অবর্তমানে কোন বেগানা আত্মীয় বা বন্ধুর সাথে নির্জনবাস, ট্যাক্সি  ড্রাইভারের সাথে বা রিক্সায় রিক্সাচালকের সাথে নির্জনে গমন, পীর ও মহিলা মুরীদের একান্তে বায়াত ও তা’লীম প্রভৃতি একই পর্যায়ের; যাদের মাঝে  শয়তান কুট্নী সেজে অবৈধ বাসনা ও কামনা জাগ্রত করে কোন পাপ সংঘটিত করতে চেষ্টা করে।[4]
বারুদের নিকট আগুন রাখা হলে বিস্ফোরণ তো হতেই পারে। যেহেতু মানুষের মন বড় মন্দপ্রবণ এবং দুর্নিবার কামনা ও বাসনা মানুষকে অন্ধ ও বধির করে তোলে। তা ছাড়া নারীর মাঝে রয়েছে মনোরম কমনীয়তা, মোহনীয়তা এবং চপলতা। আর শয়তান তো মানুষকে অসৎ কাজে ফাঁসিয়ে দিয়ে আনন্দবোধ করে থাকে।
অনুরূপ কোন বেগানা মহিলার সাথে নির্জনে নামায পড়াও বৈধ নয়।[5]
তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর নিকট নিজের সন্তান দেখতে গিয়ে বা কোন কাজে গিয়ে তার সাথে নির্জনতাও অনুরূপ। কারণ, সে আর স্ত্রী নেই। আর এমন মহিলার সাথে বিপদের আশঙ্কা বেশী। শয়তান তাদেরকে তাদের পূর্বের স্মৃতিচারণ করে ফাঁসিয়ে দিতে পারে।[6]
বৃদ্ধ-বৃদ্ধার আপোসে বা তাদের সাথে যুবতী-যুবকের নির্জনবাস, কোন হিজড়ে বা খাসি করা নারী-পুরুষের আপোষে বা তাদের সাথে যুবক-যুবতীর, একাধিক মহিলার সাথে কোন একটি যুবক অথবা একাধিক পুরুষের সাথে এক মহিলার, কোন সুশ্রী কিশোরের সাথে যুবকের নির্জনবাসও অবৈধ। প্রয়োজন হলে এবং মহিলার মাহরাম না পাওয়া গেলে কোন মহিলার জামাআতে একজন পুরুষ থেকে সফর আদি করায়  অনেকের নিকট অনুমতি রয়েছে।[7]
প্রকাশ যে, মহিলার সাথে কোন নাবালক শিশু থাকলে নির্জনতা কাটে না।
  ব্যভিচার থেকে সমাজকে দূরে রাখার জন্যই ইসলামে নারী-পুরুষে অবাধ মিলা-মিশা, একই অফিসে, মেসে, ক্লাশরুমে, বিয়ে ও মরা বাড়িতে, হাসপাতালে, বাজারে প্রভৃতি ক্ষেত্রে উভয় জাতির একত্রে জমায়েত অবৈধ।[8]
  মুসলিম নারীর শিক্ষার অর্থ এই নয় যে, তাকে বড় ডিগ্রী, সুউচ্চ পদ, মোটা টাকার চাকুরী পেতে হবে। তার শিক্ষা জাতিগঠনের জন্য, সমাজ গড়ার জন্য, মুসলিম দেশ ও পরিবেশ গড়ার জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু শিখতে পারলেই যথেষ্ট; যদিও তা ঘরে বসেই হয়। তা ছাড়া পৃথক গার্ল্স স্কুল-কলেজ না থাকলে মিশ্র শিক্ষাঙ্গনে মুসলিম নারীর শিক্ষায় ‘জল খেতে গিয়ে ঘটি হারিয়ে যাওয়া’র ঘটনাই অধিক ঘটে থাকে; যে সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শিক্ষিত হওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু আদর্শ মুসলিম হওয়া যায় না। নারীর সবনির্ভরশীল হয়ে জীবন-যাপন করায় গর্ব আছে ঠিকই, কিন্তু সুখ নেই। প্রকৃতির সাথে লড়ে আল্লাহর আইনকে অবজ্ঞা করে নানান বিপত্তি ও বাধাকে উল্লংঘন করে অর্থ কামিয়ে স্বাধীনতা আনা যায় ঠিকই; কিন্তু শান্তি আনা যায় না। শান্তি আছে  স্বামীর সোহাগে,  স্বামীর প্রেম, ভালোবাসা ও আনুগত্যে। পরিত্যক্তা বা নিপীড়িতা হলে এবং দেখার কেউ না থাকলে মুসলিম রাষ্ট্র ও সমাজে তার কালাতিপাত করার যথেষ্ট সহজ উপায় আছে। যেখানে নেই সেখানকার কথা বিরল। অবশ্য দ্বীন ও দুনিয়ার প্রকৃত মূল্যায়ন করতে পারলে এ সমস্যার সমাধান সহজ হয়ে উঠবে। যারা পরকালের চিরসুখে বিশ্বাসী তারা জাগতিক কয়েকদিনের সুখ-বিলাসের জন্য দ্বীন ও ইজ্জত বিলিয়ে দেবে কেন?[9]
ব্যভিচারের প্রতি নিকটবর্তী হওয়ার আর এক পদক্ষেপ মহিলাদের একাকিনী কোথাও বাইরে যাওয়া-আসা। তাই ‘সুন্দরী চলেছে একা পথে, সঙ্গী হইলে দোষ কি তাতে?’ বলে বহু লম্পট তাদের পাল্লায় পড়ে থাকে, ধর্ষণের হাত হতে অনেকেই রক্ষা পায় না, পারে না নিজেকে ‘রিমার্ক’ ও ‘টিস্’ এর শিলাবৃষ্টি হতে বাঁচাতে। এর জন্যই তো সমাজ-বিজ্ঞানী রসূল (সাঃ) বলেন,
وَلاَ تُسَافِرُ المَرْأةُ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ.
‘‘মহিলা যেন এগানা পুরুষ ছাড়া একাকিনী সফর না করে।’’ (বুখারী ৫২৩৩, মুসলিম ১৩৪১ন)
المَرأَةُ عَورَةٌ فَإِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيطَان.
‘‘রমণী গুপ্ত জিনিস; সুতরাং যখন সে (বাড়ি হতে) বের হয়, তখন শয়তান তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে রমণীয় করে দেখায়।’’[10]
ব্যভিচারের কাছে যাওয়ার আর এক পদক্ষেপ কোন এমন মহিলার নিকট কোন গম্য আত্মীয় বা অন্য পুরুষের গমন যার  স্বামী বর্তমানে বাড়িতে নেই, বিদেশে আছে। কারণ এমন স্ত্রীর মনে সাধারণতঃ যৌনক্ষুধা একটু তুঙ্গে থাকে, তাই বিপদ ঘটাই স্বাভাবিক। স্ত্রী বা ঐ পুরুষ যতই পরহেযগার হোক, তবুও না। এ বিষয়ে নীতি-বিজ্ঞানী (সাঃ) বলেন,
لَا تَلِجُوا عَلَى الْمُغِيبَاتِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنْ أَحَدِكُمْ مَجْرَى الدَّمِ.
‘‘তোমরা সেই মহিলাদের নিকট গমন করো না যাদের  স্বামীরা বিদেশে আছে। কারণ, শয়তান তোমাদের রক্তশিরায় প্রবাহিত হয়।’’[11]
সাহাবী (রাঃ) বলেন, ‘‘আল্লাহর নবী (সাঃ) আমাদেরকে নিষেধ করেছেন যে, আমরা যেন মহিলাদের নিকট তাদের  স্বামীদের বিনা অনুমতিতে গমন না করি।’’[12]
অনুরূপ কোন প্রকার সেন্ট বা পারফিউমড্ ক্রিম অথবা পাওডার ব্যবহার করে বাইরে পুরুষদের সম্মুখে (পর্দার সাথে হলেও) যাওয়া ব্যভিচারের নিকটবর্তী হওয়ার এক ভূমিকা। যেহেতু যুবকের প্রবৃত্তি এই যে, মহিলার নিকট হতে সুগন্ধ পেলে তার যৌন-চেতনা উত্তেজনায় পরিণত হয়। যার জন্যই সংস্কারক নবী (সাঃ) বলেন,
كُلُّ عَيْنٍ زَانِيَةٌ وَالْمَرْأَةُ إِذَا اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ بِالْمَجْلِسِ فَهِيَ كَذَا وَكَذَا يَعْنِي زَانِيَةً.
‘‘প্রত্যেক চক্ষুই ব্যভিচারী। আর রমণী যদি সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন (পুরুষের) মজলিসের পাশ দিয়ে পার হয়ে যায় তাহলে সে এক বেশ্যা।’’[13]
এমন কি এই অবস্থায় নামাযের জন্য যেতেও নিষিদ্ধ।[14]
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,
أَيُّمَا امْرَأَة تَطَيَّبَت ثُمَّ خَرَجَت إِلَى المسجِدِ لَم تُقبَل لهَا صَلاَةٌ حَتى تَغتَسِل.
‘‘যে মহিলা সেন্ট্ ব্যবহার করে মসজিদে যায়, সেই মহিলার গোসল না করা পর্যন্ত কোন নামায কবুল হবে না।’’ (সহীহ আল-জা-মিউস সাগীর অযিয়াদাতুহ ২৭০৩নং)
কোন গম্য পুরুষের সাথে মহিলার প্রগল্ভতার সাথে কিংবা মোহনীয় কণ্ঠে সংলাপ ও কথোপকথন করাও ব্যভিচারের নিকটবর্তীকারী পথসমূহের অন্যতম ছিদ্রপথ। এ বিপজ্জনক বিষয়ে সাবধান করে আল্লাহ তা’আলা মহিলাদের উদ্দেশ্যে বলেন,
﴿إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ﴾
‘‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তবে পরপুরুষদের সাথে কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বলো না, যাতে ব্যাধিগ্রস্ত অন্তরের মানুষ প্রলুব্ধ হয়।’’[15]
এই জন্যই ইমাম ভুল করলে পুরুষ মুক্তাদীরা তসবীহ বলে স্মরণ করাবে, আর মহিলারা হাততালির শব্দে, তসবীহ বলেও নয়! যাতে নারীর কণ্ঠসবরে কতক পুরুষের মনে যৌনানুভূতি জাগ্রত না হয়ে উঠে। সুতরাং নারী-কণ্ঠের গান তথা অশ্লীল গান যে কি, তা রুচিশীল মানুষদের নিকট সহজে অনুমেয়।
  এমন বহু হতভাগী মহিলা আছে, যারা  স্বামীর সাথে কর্কশসবরে কথা বলে কিন্তু কোন উপহাসের পাত্রের (?) সাথে মোহন-সূরে সংলাপ ও উপহাস করে। এরা নিশ্চয়ই পরকালেও হতভাগী।
তদনুরূপ বেগানা নারীর সাথে মুসাফাহা বৈধ নয়। হাতে মোজা, দস্তানা বা কাপড়ের কভার রেখেও নয়। কামমনে হলে তা হাতের ব্যভিচার।[16] 
করতল চেপে ধরা এবং সুরসুরি দেওয়াও হল তার ইঙ্গিত! কোন গম্য নারীর দেহ স্পর্শ, বাসে-ট্রেনে, হাটে-বাজারে, স্কুলে-কলেজে প্রভৃতি ক্ষেত্রে গায়ে গা লাগিয়ে চলা বা বসা, নারী-পুরুষের ম্যাচ খেলা ও দেখা প্রভৃতি ইসলামে হারাম। কারণ, এ সবগুলিও অবৈধ যৌনাচারের সহায়ক। সমাজ সংস্কারক নবী (সাঃ) বলেন,
لأَنْ يُطْعَنَ فِي رَأْسِ رَجُلٍ بِمِخْيَطٍ مِنْ حَدِيدٍ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمَسَّ امْرَأَةً لا تَحِلُّ لَهُ.
‘‘কোন ব্যক্তির মাথায় লৌহ সুচ দ্বারা খোঁচা যাওয়া ভালো, তবুও যে নারী তার জন্য অবৈধ তাকে স্পর্শ করা ভালো নয়।’’[17]
বাইরে বের হয়ে রমণীর রমণীয়, মোহনীয় ও সৌন্দর্য-গর্বজনক চপল মধুর চলনও ব্যভিচার ও যৌন উত্তেজনার সহায়ক কর্ম। এরা সেই নারী যাদের প্রসঙ্গে নবী (সাঃ) বলেছেন, ‘‘তারা পুরুষকে আকৃষ্ট করে এবং নিজেরাও আকৃষ্ট হয়; তারা জাহান্নামী।’’ [18]
অনুরূপ খট্খট্ শব্দবিশিষ্ট জুতো নিয়ে চট্পটে চলন, দেহের অলঙ্কার যেমন চুড়ি, খুঁটকাটি, নুপুর, তোরা প্রভৃতির বাজনা বাজিয়ে লাস্যময় চলনও যুবকের মনে যৌন-আন্দোলন আনে। সুতরাং এ কর্ম যে হারাম তা বলাই বাহুল্য। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿وَلاَ يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ﴾
‘‘তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে  সজোরে পদক্ষেপ না করে----।’’[19]
যেমন পথে চলার সময় পথের মাঝে চলা নারীর জন্য বৈধ নয়।[20]
মহিলাদের জন্য সবগৃহে গোসলখানা (বাথরুম) করা ওয়াজেব (সিমেন্টের হওয়া জরুরী নয়) এবং ফাঁকা পুকুরে, নদীতে, ঝর্ণায়, সমুদ্রতীরে বা সাধারণ গোসলখানায় গোসল করা তাদের জন্য হারাম। যেহেতু সমাজ-বিজ্ঞানী নবী (সাঃ) বলেছেন,
أَيُّمَا امْرَأَةٍ وَضَعَتْ ثِيَابَهَا فِي غَيْرِ بَيْتِهَا فَقَدْ هَتَكَتْ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أَوْ سِتْرَ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ.
‘‘যে নারী সবগৃহ ( স্বামীগৃহ বা মায়ের বাড়ি) ছাড়া অন্য স্থানে নিজের পর্দা রাখে (কাপড় খোলে) আল্লাহ তার পর্দা ও লজ্জাশীলতাকে বিদীর্ণ করে দেন। (অথবা সে নিজে করে দেয়।)[21]
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يُدْخِلْ حَلِيلَتَهُ الْحَمَّامَ.
‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহতে ও পরকালে বিশ্বাস রাখে সে যেন তার স্ত্রীকে সাধারণ গোসলখানায় যেতে না দেয়।’’[22]
সবগৃহ ছেড়ে পরকীয় গৃহে বাস, বান্ধবী বা বান্ধবীর  স্বামীর বাড়িতে রাত্রিবাস ইত্যাদিও বিপজ্জনক ব্যভিচারের ছিদ্রপথ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে মহিলা নিজের  স্বামীগৃহ ছাড়া অন্য গৃহে নিজের কাপড় খোলে সে আল্লাহ আয্যা অজাল্লা ও তার নিজের মাঝে পর্দা বিদীর্ণ করে ফেলে।’’[23]
একই কারণে অপরের লজ্জাস্থান (নাভি হতে হাঁটু পর্যন্ত স্থান) দেখা এবং একই কাপড়ে পুরুষে-পুরুষে বা মহিলায়-মহিলায় শয়ন করাও নিষিদ্ধ।[24]
পর পুরুষের দৃষ্টিতে মহিলার সর্বশরীর লজ্জাস্থান। বিশেষ করে চক্ষু এমন এক অঙ্গ যার দ্বারা বিপত্তির সূচনা হয়। চোখাচোখি থেকে শুরু হয়, কিন্তু শেষ হয় গলাগলিতে। এই ছোট্ট অঙ্গার টুকরা থেকেই সূত্রপাত হয় সর্বগ্রাসী বড় অগ্নিকান্ডের। দৃষ্টির কথাই কবি বলেন,
‘‘আঁখি ও তো আঁখি নহে, বাঁকা ছুরি গো
কে জানে সে কার মন করে চুরি গো!’’
প্রেম জগতে চক্ষু কথা ব’লে এমন বিষয় বুঝিয়ে থাকে যা জিহ্বা প্রকাশ করতে অক্ষম। চোখের কোণেই আছে যাদুর রেখা।
‘‘নয়না এখানে যাদু জানে সখা এক আঁখি ইশারায়
  লক্ষ যুগের মহা-তপস্যা কোথায় উবিয়া যায়!’’
‘নজরবান’ মেরে অনেকে অনেককে ঘায়েল করে থাকে। চোরা চাহনিতে অনেকেই বুঝিয়ে থাকে গোপন প্রণয়ের সূক্ষ্ম ইঙ্গিত।
‘‘--গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি; ছল করে দেখা অনুখন,
    --চপল মেয়ের ভালোবাসা তার কাঁকন চুড়ির কন্কন্।’’
সুতরাং এ দৃষ্টি বড় সাংঘাতিক বিপত্তি। যার জন্যই আল্লাহপাক বলেন,
﴿قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ- وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ﴾
‘‘মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে (নজর ঝুকিয়ে চলে) এবং তাদের যৌনাঙ্গকে সাবধানে সংযত রাখে; এটিই তাদের জন্য উত্তম। ওরা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে অবহিত। আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারাও যেন নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও লজ্জাস্থান সংরক্ষা করে---।’’[25]
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, ‘‘(কোন রমণীর উপর তোমার দৃষ্টি পড়লে তার প্রতি) বারবার দৃক্পাত করো না। বরং নজর সত্বর ফিরিয়ে নিও।’’[26]
যেহেতু ‘‘চক্ষুও ব্যভিচার করে এবং তার ব্যভিচার হল (কাম)দৃষ্টি।’’[27]
সুতরাং এ দৃষ্টিকে ছবি থেকেও সংযত করতে হবে এবং পরপুরুষ থেকে আড়ালে রাখতে হবে। যাতে একহাতে তালি নিশ্চয়ই বাজবে না। আর এই বড় বিপদ সৃষ্টিকারী অঙ্গ চোখটি থাকে চেহারায়। চোখাচোখি যাতে না হয়, তাই তো নারীর জন্য জরুরী তার চেহারাকেও গোপন করা।
অত্যন্ত সখীত্বের খাতিরে হলেও বিনা পর্দায় সখীতে-সখীতে দৃঢ় আলিঙ্গন ও একে অপরকে নিজ নিজ সৌন্দর্য প্রদর্শন করা বৈধ নয়। কারণ এতে সাধারণতঃ প্রত্যেক সখী তার সখীর দেহ-সৌষ্ঠব নিজের  স্বামীর নিকট বর্ণনা করলে  স্বামী মনের পর্দায় তার স্ত্রীর ঐ সখীর বিলক্ষণ রূপ-দৃশ্য নিয়ে মনোতৃপ্তি লাভ করে থাকে।[28] হয়তো বা মনের অলক্ষ্যেই এই পুরুষ তার হৃদয়ের কোন কোণে ঐ মহিলার জন্য আসন পেতে দেয়। আর পরবর্তীতে তাকে দেখার ও কাছে পাওয়ার মত বাসনাও জাগ্রত করে তোলে।
নোংরা পত্র-পত্রিকা পাঠ, অশ্লীল ছায়াছবি ও থিয়েটার-যাত্রা দর্শনও একই পর্যায়ের; যাতে ধবংস হয় তরুণ-তরুণীর চরিত্র, নোংরা হয়ে উঠে পরিবেশ।
 স্বামী-স্ত্রীর মিলন-রহস্য প্রভৃতি জানার জন্য সঠিক সময় হল বিবাহের পর অথবা বিবাহের পাকা দিন হওয়ার পর। নচেৎ এর পূর্বে রতি বা কামশাস্ত্র পাঠ করে বিবাহে দেরী হলে মিলনতৃষ্ণা যে পর্যায়ে পৌঁছায় তাতে বিপত্তি যে কোন সময়ে ঘটতে পারে।
কারো রূপ, দ্বীনদারী প্রভৃতির প্রশংসা শুনে তাকে মনে মনে ভালোবেসে ফেলা দূষণীয় নয়। তাকে পেতে বৈধ উপায় প্রয়োগ করা এবং বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ করে সুখের সংসার গড়া উত্তম। কিন্তু অবৈধভাবে তাকে দেখা, পাওয়া, তার কথা শোনা ও তার সান্নিধ্যলাভের চেষ্টা করা অবশ্যই সীমালংঘন। অবৈধ বন্ধুত্ব ও প্রণয়ে পড়ে টেলিফোনে সংলাপ ও সাক্ষাৎ প্রভৃতি ইসলামে হারাম।
যুবক-যুবতীর ঐ গুপ্ত ভালোবাসা তো কেবল কিছু দৈহিক সুখ লুটার জন্য। যার শুরুতেও চক্ষে অশ্রু ঝরে এবং শেষেও। তবে শুরুতে ঝরে আনন্দাশ্রু, আর শেষে উপেক্ষা ও লাঞ্ছনার। কারণ, ‘কপট প্রেম লুকোচুরি, মুখে মধু, হূদে ছুরি’ই অধিকাংশ হয়। এতে তরুণী বুঝতে পারে না যে, প্রেমিক তার নিকট থেকে যৌনতৃপ্তি লাভ ক’রে তাকে বিনষ্ট ক’রে চুইংগামের মত মিষ্টতা চুষে নিয়ে শেষে আঠাল পদার্থটিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।
‘‘বন্ধু গো যেও ভুলে-
 প্রভাতে যে হবে বাসি, সন্ধ্যায় রেখো না সে ফুল তুলে।
 উপবনে ত্ব ফোটে যে গোলাপ প্রভাতেই তুমি জাগি,
 জানি, তার কাছে যাও শুধু তার গন্ধ-সুষমা লাগি।’’
সুতরাং এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিৎ মুসলিম তরুণীকে এবং তার অভিভাবককেও। কারণ, ‘বালির বাঁধ, শঠের প্রীতি, এ দুয়ের একই রীতি।’

Friday, June 21, 2019

June 21, 2019

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজীলত ও নিয়ম??

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজীলত ও নিয়ম
👇🏻👇🏻👇🏻👇🏻👇🏻👇🏻
পবিত্র রমজানের পরবর্তী মাস এবং চন্দ্র মাসের দশম মাস হচ্ছে শাওয়াল। শাওয়াল মাসে অনেক আমল রয়েছে এসব আমলের ফজীলত-ও অনেক বেশী। নিম্নে শাওয়াল মাসের আমল ও ফজীলত সর্ম্পকে সংক্ষিপ্তভাবে আলোকপাত করার প্রয়াস করলাম ।
শাওয়াল শব্দের বিশ্লেষণ : শাওয়াল শব্দটি ‘শাওলুন’থেকে এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে বের হওয়া। যেহেতু এ মাসে আরববাসী আনন্দ-উল্লাসের জন্য ভ্রমণে বের হয় এজন্য শাওয়ালকে শাওয়াল বলা হয়। [গিয়াসুল্লুগাত-২৮৭]
শাওয়ালের আমল : শাওয়াল মাসের গুরত্বপূর্ণ একটি আমল হচ্ছে শাওয়ালের ‘ছয় রোজা’। রমজানের ফরজ রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখা মুস্তাহাব। আর এ রোজাকে শাওয়ালের ছয় রোজা বলে। এই রোজার অনেক ফজীলত রয়েছে যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত । রাসুল আকরাম সা: নিজে এ রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকে ও রাখার জন্য নির্দেশ দিতেন ।
শাওয়ালের রোজার ফজীলত: এই রোজার ফজীলত সর্ম্পকে রাসুলুল্লাহ সা: হাদিসের মধ্যে ইরশাদ করেন,“যারা মাহে রমজানের ফরজ রোজা রাখবে,অতপর মাহে শাওয়ালের ছয় রোজা রাখবে তারা সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব অর্জন করবে। [মুসলিম শরীফ :১ম.খন্ড ৩৬৯পৃ:]
এ রোজার ফজীলত সম্পর্কে রাসুল সা: আরো ইরশাদ করেন,“ যারা পবিত্র রমজানের রোজা রাখার পর শাওয়ালের আরো ছয়টি রোজা রাখবে তারা সেই ব্যক্তির মত হয়ে যাবে যে ব্যক্তি সদ্য তার মায়ের পেঠ থেকে দুনিয়াতে আগমণ করেছে। অর্থাৎ সে শিশু যেভাবে পুত-পবিত্র তথা নিষ্পাপ, তার কোন গোনাহ নেই, যারা শাওয়ালের ছয় রোজা রাখবে তারা ও সেই নিষ্পাপ শিশুর মত হয়ে যাবে ।  [তিরমিযী শরিফ]
হযরত উবাইদুল্লাহ রা: থেকে বর্ণিত.তিনি বলেন, একদিন রাসুল সা: কে জিজ্ঞাসা করলাম ,ইয়া রাসুলাল্লাহ আমি কি সারা বছর রোজা রাখতে পারব? তখন রাসুল সা: বললেন,“তোমার উপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে”,কাজেই তুমি সারা বছর রোজা না রেখে. রমজানের রোজা রাখ এবং রমজানের পরবর্তী মাস শাওয়ালের ছয় রোজা রাখ, তাহলেই তুমি সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাবে। [তিরমিযি শরিফ:১ম খন্ড.১৫৭পৃ:]
এই হাদিসে বলা হয়েছে যে, রমজানের রোজা রাখার পর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখলে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যাবে। এই সওয়াব এভাবে যে, মহান রাব্বুল আলামিন মানবতার মুক্তির সনদ মহা গ্রন্থ আল কুরআন কারীমের সুরায়ে আনআমের ১৬০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, “যে লোক একটি নেক কর্ম আঞ্জাম দিবে সে লোক দশগুণ বেশী সওয়াব পাবে। সে হিসেবে রমজানের ত্রিশ রোজায় তিনশত রোজার সওয়াব হয়। আর মাহে শাওয়ালের ছয় রোজায় ষাট রোজার সওয়াব হয়। এভাবে রমজানের ৩০ রোজা এবং শাওয়ালের ৬ রোজা মোট ৩৬ রোজা দশ দিয়ে গুণ দিলে ৩৬০ রোজার সমান হয়ে যায়, আর ৩৬০ দিনে এক বছর। সুতরাং ৩৬ টি রোজায় সারা রছর রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়।
শাওয়ালের রোজা রাখার নিয়ম: শাওয়ালের ছয় রোজা শাওয়াল মাসেই শুরু করে শেষ করতে হবে। ধারাবাহিকভাবে ছয় দিনে ছয় রোজা রাখা যায় আবার মাঝে ফাক রেখে পৃথকভাবেও রাখা যায়। উল্লেখ্য যে, শাওয়ালের ছয় রোজার সওয়াব তারা পাবে যারা রমজানের রোজা সঠিকভাবে পালন করেছে। কারণ রমজানের রোজা হচ্ছে ফরজ আর শাওয়ালের রোযা হল মুস্তাহাব। মুস্তাহাবের সওয়াব তখনই পাওয়া যায় যখন ফরজ পালন করা হবে ।
আমাদের সমাজ আজ বিভিন্ন ধরণের গোমরাহিতে নিমজ্জিত। অনেক লোক এমন আছে যারা রমজানের ফরজ রোজা, ফরজ নামাজ, ইত্যাদি পালন করেনা কিন্তু নফল আমল নিয়ে বাড়াবাড়ি করে। গত রমজান মাসের দুপুর বেলায় আমাদের এলাকার এক ভ্রদ্র লোকের সাথে হঠাৎ আমার দেখা, দেখলাম এই লোকটি সিগারেট খাচ্ছে, জিজ্ঞাস করলাম ভাই রমজান মাসে আপনি একি করছেন? সে আমাকে বলল ভাই আমার গ্যাস্ট্রিক যার কারণে আমি রোজা রাখতে পারিনি । ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন পর আবার সেই লোকটির সাথে হঠাৎ আমার দেখা, সে আমাকে বলল ভাই আপনি শাওয়ালের ছয় রোজা রাখছেন কী? আমি বললাম আপনি রাখছেন? সে বলল আরে মিয়া আমি না রেখে আপনাকে বলছিনাকি। আমি তাকে বললাম ভাই এখন কি আপনার গ্যাস্ট্রিক নেই? সে বলল ভাই শাওয়ালের রোজাতো মাত্র ৬ টি এবং তার ফজীলতও বেশী এসব কারণে রাখলাম ।
এটাও জেনে রাখা ভাল যে, শাওয়াল মাসে এ ৬ টি রোজা মাসের যেকোন দিন রাখা যায়। মাসের শুরুতে রাখা যায়, আবার মাসের মধ্যে বা মাসের শেষে যেকোন সময় তথা যেকোন দিন রোজা রাখা যায়। যার যার সুযোগ-সুবিধা মত এক সাথে ছয় রোজা, আবার আলাদা আলাদা করেও রাখা যায়। এমনকি শাওয়ালের ভিতরে ছয়টি রোজা রাখলেই হবে ।
শাওয়ালের ছয়টি রোজা নিয়ে আমাদের সমাজে ভ্রান্ত কিছু ধারণা ও কুসংস্কার দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করে এ ছয় রোজা শুধু মাত্র মহিলারা রাখবে, বুড়ো ও পুরুষ লোক রাখবেনা। আবার কেউ কেউ মনে করে এ রোজা একবার রাখলে প্রতি বছরই রাখতে হবে। এছাড়া ও আরো বেশ কিছু কুসংস্কার সমাজে দেখা দিয়েছে ।
বাস্তবতা হচ্ছে ইসলামী শরীয়তে এহেন কোন বিধান আরোপ করেনি। ঐসব কিছু হচ্ছে কুসংস্কার ও কুপ্রথা তথা ভ্রান্ত বিশ্বাস। শাওয়ালের রোজা পুরুষ, মহিলা, যুবক, বৃদ্ধসহ সকলেই রাখতে পারবে। আবার একবার রাখলে বারবার তথা প্রতি বছর রাখতে হবে এইরকম কোন বিধি-বিধান শরীয়তে নেই । ইচ্ছা হলে প্রতি বছর রাখতে পারবেন অথবা নাও রাখতে পারবেন, এটা যার যার ইচ্ছা। এটা মুস্তাহাব, ফরজ নয়। যেহেতু রাসুলের হাদিস দ্বারা এই ছয় রোজার অনেক ফজীলত পাওয়া গেল এবং রাসুল সা. নিজেও শাওয়ালের এ ছয় রোজা রাখতেন এবং উম্মতকে রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, সেজন্য এ রোজা রাখা আমাদের জন্য উচিত। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে যেন শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা এখলাসের সাথে রাখার তাওফিক দান করেন। আমিন ।
June 21, 2019

✒ফেইসবুক ব্যবহার কখন হারাম????

✒ফেইসবুক ব্যবহার কখন হারাম!!

(১) ফেইজবুকের নেশা যখন আমার নামাযকে বিলম্বিত করিয়ে দেয়। ফেইজবুক তখন হারাম।

(২) যখন আমার ওয়ালে/পেইজে অনৈসলামিক কিছু থাকে, আল্লাহ নারাজ হন এমন কিছু থাকে, তখনো ফেইজবুক হারাম।

(৩) যখন আমার প্রোফাইল পিকচারে একজন উলঙ্গ বা অর্ধোলঙ্গ নারীর ছবি থাকে, তখনো ফেইজবুক হারাম।

(৪) যখন ফেইজবুক আমাকে আল্লাহর যিকির ও কুরআন তিলাওয়াত থেকে দূরে সরিয়ে রাখে, তখনো ফেইজবুক হারাম।

(৫) যখন ফেইজবুকের পুরো সময়টাই অনর্থক চ্যাট, অনর্থক ঝগড়া-গালিতে ব্যয় হয়, তখনো ফেইজবুক হারাম।

(৬) ফেসবুক যখন বেগানা নারী বা পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কের মাধ্যম হয়, তখনো ফেইজবুক হারাম।

✒ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন
"সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তা সংরক্ষণ করে রাখার জন্যে তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী আছে।"
___________(ক্বাফ:১৮)

50:23

وَقَالَ قَرِينُهُۥ هٰذَا مَا لَدَىَّ عَتِيدٌ

আর তার সাথী (ফেরেশতা) বলবে, এই তো আমার কাছে (আমল নামা) প্রস্তুত।

50:29

مَا يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَىَّ وَمَآ أَنَا۠ بِظَلّٰمٍ لِّلْعَبِيدِ

‘আমার কাছে কথা রদবদল হয় না, আর আমি বান্দার প্রতি যুলমকারীও নই’।

ফেইজবুকে পার করা সময়টা যেনো নেকী হিসাবে হাশরের দিনে মিজানের পাল্লায় উঠানো যাই সেই চেষ্টায় হোক আমাদের সকলের কাম্য। আমীন।
June 21, 2019

ফেসবুকে ছবি আপলোড, কবিরা নাকি ছগিরা গুনাহ …?

ফেসবুকে ছবি আপলোড, কবিরা নাকি ছগিরা গুনাহ …?

আপনার জিজ্ঞাসার ১৯৬৪তম পর্বে ফেসবুকে ছবি আপলোড করলে গুনাহ হবে কি না, সে সম্পর্কে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ইমেইলে জানতে চেয়েছেন মোহাম্মদ ইয়াসিন। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন :
ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ছবি আপলোড করলে কি গুনাহ হবে? ইসলাম এটাকে কি গুনাহ হিসাব করে? কবিরা নাকি ছগিরা গুনাহ?

উত্তর : একবারে অপ্রয়োজনীয় কাজে নিজেকে লিপ্ত করা জায়েজ নেই। ইমানদার ব্যক্তিরা যেকোনো ধরনের অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে নিজেরা বিরত থাকবেন।

আল্লাহ তায়ালা সুরা মুমিনুনের মধ্যে ইমানদার ব্যক্তিদের বৈশিষ্ট্যের বিষয়ে এরশাদ করেন—ওয়াল্লাজিনাহুম আনিল্লাগবি মু’রিদুন (আর সেই সমস্ত লোকেরা, যারা বেহুদা কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখে)। ইমানদার ব্যক্তিরা মূলত বেহুদা কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখবে।

তবে, আপনি যদি মনে করেন যে, ফেসবুকে আপনার অনেক ডকুমেন্টারির বিষয় আছে, অথবা ডকুমেন্ট হিসেবে কোনো অনুষ্ঠানের ছবি যদি আপনি আপলোড করতে চান, সেটা ভিন্ন বিষয়। প্রয়োজনের তাগিদে সেটা কখনো কখনো জায়েজ হবে।

আবার অনেক সময় এ রকম ছবি দেওয়া হয়, যেটা মানুষের নৈতিক বা পবিত্র চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক, সেই ধরনের ছবি আপলোড করা যাবে না। দেখা যায়, অনেকে‌ তাদের পরিবারের ছবি দিয়ে দিচ্ছে, খারাপ ছবি দিচ্ছে বা এমন ছবি দিচ্ছে যেটা সবাইকে দেখানো উচিত নয়, এগুলো আপলোড করা হালাল হওয়ার কোনো সংগত দলিল নেই। বরং এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় ছবি আপলোড করা নাজায়েজ হবে, জায়েজ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

Thursday, June 20, 2019

June 20, 2019

ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুন করা হারাম চলুন -জেনে নিই।

❐ হস্তমৈথুন: এক ভয়াবহ মরণফাঁদ।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
.
সুখবর...!!! সুখবর...!!! সুখবর...!!!
.
পর্নাসক্ত ও হস্তমৈথুনকারী ভাইদের জন্য সুখবর...!!!
.
যারা পর্নভিডিও দেখেন বা নিয়মিত হস্তমৈথুন করে থাকেন তাদের জন্য ৩ টি আকর্ষনীয় পুরষ্কার!
.
• ১ম পুরষ্কার: Premature Ejaculation বা অকাল বীর্যপাত,বিবাহিত জীবনে স্ত্রীর কাছে গিয়ে বিশেষ মুহুর্তে ২ মিনিটে বীর্যপাত! প্রিয়তমার মুখ বেজার! লজ্জায় মাথা নিচু!
.
একদিন দুই তিনদিন...
.
এরপর স্ত্রীর সামনে মাথা তুলে দাঁড়ানোর দিন শেষ!
.
• ২য় পুরষ্কার: Erectile Dysfunctions বা উত্থান সংক্রান্ত সমস্যা বিশেষ মুহুর্তে বিশেষ অঙ্গ যতটা শক্ত হওয়া উচিৎ ছিল ততটা শক্ত হবেনা। মারাত্মক রকমের Erectile Dysfunction এর শিকার হবেন। ভায়াগ্রার আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন..ফলে অকালেই হারাবেন বাঁকি সক্ষমতাটুকুও! প্রিয়তমার মুখ বেজার! লজ্জায় মাথা নিচু!
.
একদিন দুই তিনদিন...
এরপর স্ত্রীর সামনে মাথা তুলে দাঁড়ানোর দিন শেষ!
.
• ৩য় পুরষ্কার: Low Libido বা যৌনকার্যে অনাগ্রহ
প্রিয়তমার ডাকে সাড়া দিতে পারবেন না। এক তরফা ডেকেই যাবে কিন্তু আপনার কোন ইচ্ছা জাগবেনা স্ত্রীর ভালোবাসার প্রতি। আকর্ষিত হবেন না। স্ত্রীর ম্যাসেজ seen হবে কিন্তু reply করতে পারবেন না। প্রিয়তমার মুখ বেজার! লজ্জায় মাথা নিচু!
.
একদিন দুই তিনদিন...
এরপর স্ত্রীর সামনে মাথা তুলে দাঁড়ানোর দিন শেষ!
.
• বিশেষ পুরষ্কার রয়েছে ২ টি !
  ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
• ১ম পুরষ্কার :
  ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
 Lower urinary tract symptoms(LUTS)
প্রসাব করার পরেও মনেহবে কিছু বাঁকি রয়েছে। বারবার ফোটায় ফোটায় প্রসাব পড়তে থাকবে। কাপড় নাপাক হবে, অপবিত্র হবেন। নামাজ নষ্ট হবে। মন খারাপ হবে।
.
• ২য় পুরষ্কার :
  ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
Peyronie's disease
বিশেষ অঙ্গের কোমল টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে নতুন চাঁদের মত একদিকে বেঁকে যাবে এবং একসময় যৌনকার্যে সম্পূর্ন অক্ষম হয়ে পড়বেন। এটার কোন চিকিৎসা নেই। বাহবা!
.
• এখানেই চমক শেষ নয়,রয়েছে এক গুচ্ছ স্বান্তনা পুরষ্কার।
  ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
[১] শারীরিক দুর্বলতা / Weakness।
[২] সর্বদা অবসাদ / Depression।
[৩] খাবারে অরূচি / Distaste।
[৪] দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি / Optical Hallucination।
[৫] স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া / Delusion।
[৬] খিটখিটে মেজাজ / Irritability।
.
সো ভাইয়েরা যারা যারা পুরষ্কারে আগ্রহী তারা প্রতিযোগীতা করতে থাকুন। আর যারা এসব থেকে পানাহ চান তারা এগুলো থেকে দূরে থাকুন। প্রতিবার পর্ন দেখার আগে এই পুরষ্কারের তালিকাটা একবার হলেও দেখবেন।
সাবধান! অনেক রোগেরই চিকিৎসা নেই। চিকিৎসা একটাই, পরিত্যাগ...পরিত্যাগ...পরিত্যাগ!!!

 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
.
• রাসূল [ﷺ] বলেছেন,
“যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম-২৬৭৪,৬৮০৪]
.
islamiclife700.blogspot.com
[পরকালের পাথেয় কুড়াবার উদ্দেশ্যে.....]

islamiclife700.blogspot.com
June 20, 2019

বিয়ের আগে নারী-পুরুষের প্রেম কি জায়েয ?

বিয়ের আগে নারী-পুরুষের প্রেম সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ?
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

বিবাহ পূর্ব প্রেম হারাম। আল্লাহ বলেন -
• "তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়।" (সূরা মায়িদা : ৫)
সুতরাং তারা স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না ।

পর্দার আয়াতে আল্লাহ বলেন -
• মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। (সূরা নুর 30)
এখানে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে।

• "ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।" (সূরা নুর 31)
এখানে নারীদেরও একই কথা বলা হয়েছে, পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর নারীরা কাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে তাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে

• হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। (সূরা আহযাব 32)
• হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব 33:59)
এখানে পর্দাকরার নির্দেশ আরো পরিস্কার ভাষায় বলা হয়েছে। নবীপত্নীদের উল্লেখ করা হলেও তা সকল মুসলিম নারীর উপর প্রযোজ্য ।

যেখানে দৃষ্টি নীচু ও সংযত রাখা,কোমল ভাবে কথা না বলা, লজ্জা স্থান হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর সূরা মায়িদাতে গোপন প্রেমলীলাকে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে বিবাহ পূর্ব প্রেম বৈধ হতে পারে কি করে? এটা হারাম।

ব্যভিচারের ব্যপারে আল্লাহ আরো বলেন ।
• আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। (সূরা বনী ইসরাইল 32)
জিনার নিকট যাওয়াই নিষেধ অর্থাৎ যে সকল জিনিস জিনার নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে যাওয়াই নিষেধ। বিবাহ পূর্ব প্রেম নর-নারীকে জিনার নিকটবর্তী করে দেয় আর জিনা মারাত্মক একটি কবিরা গুণাহ।আল্লাহ বলেন -
• এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে। কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে। (সূরা ফুরকান 68- 69)

বিবাহপূর্ব প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ বলেন -
• আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হ’ত যদি এ জালেমরা পার্থিব কোন কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর। ( সূরা বাকারা 165)

ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে প্রেম তৈরি হবে তখনই যখন তারা দুজনই হিজাব ভঙ্গ করলে । কোন একজন যদি হিজাব কোনমতেই ভঙ্গ না করে তবে কোন মতেই প্রেম দাঁড়াবে না । যেসব ছেলে মেয়ের অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে তারা হিজাব কোনমতেই ভঙ্গ করে না । মনে মনে কাউকে ভাল লাগলেও তারা হিজাব ভঙ্গ করে পথচ্যুত হয় না । হিজাব মানে শুধু পোশাক নয় । পোষাক থকে আচার- আচরণ পর্যন্ত সব কিছুই এর অন্তর্ভূক্ত । তারা বিয়ের প্রস্তাব দেয় তা না হলে সবর করে ।

মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনদের এই হারাম কাজ থেকে হিফাজত করুন। আমিন
June 20, 2019

মাথার চুল অসমান করে কাটা হারাম?????

মাথার চুল অসমান করে কাটা হারাম?????

চুলের ক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ হচ্ছে– সবগুলো চুল রেখে দেওয়া কিংবা সবগুলো চুল ফেলে দেওয়া। এমন ছিল না যে, তিনি কিছু অংশের চুল কামাই করতেন; আর কিছু অংশের চুল রেখে দিতেন।


বর্তমান যামানায় কিছু কিছু মুসলমান যা করে– মাথার কিছু অংশের চুল কামাই করে, কিছু অংশ রেখে দেয় এটি ‘কুযা’এর অন্তর্ভুক্ত, যা করতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন। এই ‘কুযা’ কয়েক প্রকার হতে পারে:

১। মাথার কিছু কিছু জায়গার চুল কামাই করে অপর কিছু কিছু জায়গা রেখে দেওয়া।

২। মাথার সাইডের চুলগুলো কামাই করে মাঝখানের চুলগুলো রেখে দেওয়া।

৩। মাথার মাঝখানের চুলগুলো কামাই করে সাইডের চুলগুলো রেখে দেওয়া।

৪। মাথার সামনের চুলগুলো কামাই করে পিছনের চুলগুলো রেখে দেওয়া।

৫। মাথার পিছনের চুলগুলো কামাই করে সামনের চুলগুলো রেখে দেওয়া।

৬। মাথার এক পার্শ্বের কিছু চুল কামাই করে বাকীগুলো রেখে দেওয়া।

সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে ইবনে উমর (রাঃ) থেকে সাব্যস্ত হাদিসে এ সবগুলো স্টাইল হারাম হওয়ার প্রমাণ রয়েছে। সে হাদিসে এসেছে যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘কুযা’ করা থেকে তথা শিশুর মাথার একাংশের চুল কামাই করে অপর অংশের চুল রেখে দিতে নিষেধ করেছেন। ইবনে উমর (রাঃ) থেকে আরও বর্ণিত আছে যে, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখলেন যে, এক শিশুর মাথার কিছু চুল কামাই করা হয়েছে, আর কিছু চুল রেখে দেওয়া হয়েছে তখন তিনি তাদেরকে এরূপ করতে বারণ করেন। তিনি বলেন: “তোমরা সম্পূর্ণ মাথা কামাই করবে, কিংবা সম্পূর্ণ মাথার চুল রেখে দিবে।” উমর (রাঃ) থেকে মারফু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, “শিঙ্গা লাগানো ব্যতীত মাথার শুধু পিছনের দিকের চুল কামাই করা অগ্নি উপাসকদের বৈশিষ্ট্য”। সুনানে আবু দাউদে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি এক বালকের দুইটি বেণী দেখে কিংবা দুইটি জুটি দেখে বললেন: এই দুইটি কামাই করে ফেল কিংবা ছাটাই করে ফেল। কেননা এটা ইহুদীদের স্টাইল।”। মারওয়াযি বলেন: আমি আবু আব্দুল্লাহ্‌কে (আহমাদ ইবনে হাম্বলকে) মাথার পিছনের চুল কামাই করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন: এটি অগ্নিপুজারীদের কাজ। যে ব্যক্তি যাদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করবে সে তাদেরই দলভুক্ত।

Wednesday, June 19, 2019

June 19, 2019

কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত কি রকম ফজীলত???

কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত কি??
উত্তর::-
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তাঁর দরজার দিকে আহ্বান করেন, যাকে চান তিনি সঠিক পথের দিশা দেন, নিজের কিতাব নাযিলের মধ্য দিয়ে যিনি নেয়ামতধন্য করেন, যে কিতাব ‘মুহকাম’ ও ‘মুতাশাবিহ’ সংবলিত, ফলে যাদের অন্তরে রয়েছে সত্যবিমুখ প্রবণতা তারা মুতাশাবিহ্ আয়াতগুলোর পেছনে লেগে থাকে। আর যারা জ্ঞানে পরিপক্ক, তারা বলে, আমরা এগুলোর প্রতি ঈমান আনলাম। আমি তাঁর প্রশংসা করি এ জন্য যে তিনি আমাকে সুপথের সন্ধান দিয়েছেন এবং এর উপায়-উপকরণ সহজলভ্য করেছেন।
আর সাক্ষ্য দিচ্ছি যে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, এমন সাক্ষ্য দিচ্ছি যা দ্বারা আমি তাঁর শাস্তি থেকে নাজাত প্রত্যাশা করি, আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল, যিনি পৃথিবীতে আগমন ও পৃথিবী থেকে গমনকালে কার্যক্ষেত্রে ছিলেন সবচে পূর্ণাঙ্গ মানুষ।
দরূদ বর্ষিত হোক তাঁর ওপর, গারে হেরায় তার পরম সঙ্গী শ্রেষ্ঠ সাহাবী আবূ বকরের ওপর, উমরের ওপর যার মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর দীনকে সম্মানিত করেছেন এবং দুনিয়াকে তার দ্বারা অবিচল রেখেছেন, উসমানের ওপর যিনি নিজ বাসায় ও নিজ মিহরাবে শহীদ হয়েছেন, আলীর ওপর যিনি ইলমী বিষয়ের জটিলতা নিরসন ও অপ্রকাশ্য গূঢ় বিষয় উন্মোচনকারী, আর নবীর পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবীর ওপর যারা তাঁর প্রিয়জন ছিলেন। আর তাঁর উপর যথাযথ সালাম প্রদান করুন।
    আমার ভাইয়েরা!
* আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ يَتۡلُونَ كِتَٰبَ ٱللَّهِ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَنفَقُواْ مِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ سِرّٗا وَعَلَانِيَةٗ يَرۡجُونَ تِجَٰرَةٗ لَّن تَبُورَ ٢٩ لِيُوَفِّيَهُمۡ أُجُورَهُمۡ وَيَزِيدَهُم مِّن فَضۡلِهِۦٓۚ إِنَّهُۥ غَفُورٞ شَكُورٞ ٣٠ ﴾ [فاطر: ٢٩،  ٣٠]
‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে, আমার দেয়া রিযিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে এমন ব্যবসার, যা কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা, কারণ আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরো অধিক দান করবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ (সূরা আল-ফাতির, আয়াত: ২৯-৩০)
    আল্লাহর কিতাবের তিলাওয়াত দু’প্রকার। যথা-
১। প্রথম প্রকার: হুকমী তিলাওয়াত। এটা হলো আল্লাহর কথাকে বিশ্বাস করা, তাঁর নির্দেশ মেনে নিয়ে তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ থেকে বর্জন করে কিতাব তথা আল কুরআনের সকল হুকুম-আহকাম বাস্তবায়ন করা। এ বিষয়ে অন্য আসরে বিস্তারিত আলোচনা আসবে ইনশাআল্লাহ।
২। দ্বিতীয় প্রকার: শাব্দিক তিলাওয়াত। এটা হলো আল কুরআন পাঠ করা। এর ফযীলতের ব্যাপারে কুরআন ও সুন্নাহ হতে অনেক দলীল প্রমাণ রয়েছে। ফযীলত হয়তো পুরা কুরআনের ব্যাপারে আবার হয়তো নির্দিষ্ট কোনো সূরার ব্যাপারে রয়েছে আবার কখনো হয়তো নির্দিষ্ট কোনো আয়াতের ব্যাপারে রয়েছে।
* যেমন বুখারী ও মুসলিমে উসমান ইবন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ القُرْآنَ وَعَلَّمَهُ»
“তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি যিনি কুরআন মাজীদ শিক্ষা করেন এবং অন্যকে শিক্ষা দেন।”[1]
* বুখারী ও মুসলিমে আরো বর্ণিত হয়েছে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:  
«الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَالَّذِى يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ ».
“আল-কুরআনে দক্ষ ও পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ সম্মানিত পুণ্যবান ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবেন। যে ব্যক্তি কুরআন আটকে আটকে তিলাওয়াত করে এবং তা তার জন্য কষ্টকর হয়, তার জন্য দু’টি প্রতিদান রয়েছে।”[2]
দুটি প্রতিদানের প্রথমটি হলো: তিলাওয়াতের, দ্বিতীয়টি হলো: পাঠকারীর কষ্টের।
* অনুরূপভাবে বুখারী ও মুসলিমে আবু মূসা আল-আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:  
«مَثَلُ المُؤْمِنِ الَّذِي يَقْرَأُ القُرْآنَ كَمَثَلِ الأُتْرُجَّةِ، رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا طَيِّبٌ، وَمَثَلُ المُؤْمِنِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ القُرْآنَ كَمَثَلِ التَّمْرَةِ، لاَ رِيحَ لَهَا وَطَعْمُهَا حُلْوٌ، »
“যে মুমিন কুরআন তিলাওয়াত করে তার দৃষ্টান্ত কমলালেবুর মত, যা সুস্বাদু ও সুঘ্রাণযুক্ত। আর যে মুমিন কুরআন তিলাওয়াত করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের ন্যায় যার কোনো ঘ্রাণ নেই কিন্তু তার স্বাদ মিষ্টি।”[3]
* তাছাড়া সহীহ মুসলিমে আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لِأَصْحَابِهِ» .
“তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর। কেননা কুরআন কিয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে।”[4]
* অনুরূপভাবে সহীহ মুসলিমে উকবা ইবন ‘আমের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«أَفَلَا يَغْدُو أَحَدُكُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ فَيَعْلَمُ، أَوْ يَقْرَأُ آيَتَيْنِ مِنْ كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ، خَيْرٌ لَهُ مِنْ نَاقَتَيْنِ، وَثَلَاثٌ خَيْرٌ لَهُ مِنْ ثَلَاثٍ، وَأَرْبَعٌ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَرْبَعٍ، وَمِنْ أَعْدَادِهِنَّ مِنَ الْإِبِلِ»
“তোমাদের কেউ কি এরূপ করতে পার না যে, সকালে মসজিদে গিয়ে মহান আল্লাহ্‌র কিতাব থেকে দুটো আয়াত জানবে অথবা পড়বে; এটা তার জন্য দু’টো উষ্ট্রীর তুলনায় উত্তম। আর তিনটি আয়াত তিনটি উষ্ট্রী থেকে উত্তম, চারটি আয়াত চারটি উষ্ট্রী থেকে উত্তম। আর (শুধু উষ্ট্রীই নয়, বরং একইসাথে) সমসংখ্যক উট লাভ করা থেকেও তা উত্তম হবে।”[5]
* তদ্রূপ সহীহ মুসলিমে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত  হাদীসে রয়েছে, তিনি বলেন, নিশ্চয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«مَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِي بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللَّهِ تَعَالَى، يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَيَتَدَارَسُونَهُ بَيْنَهُمْ، إِلَّا نَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ، وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ، وَحَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ»
“যখন আল্লাহর কোনো ঘরে (মসজিদে) লোকজন একত্রিত হয়ে কুরআন তিলাওয়াত করে এবং নিজেদের মাঝে তা অধ্যয়ণ করে, তখন তাদের ওপর প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়, আল্লাহর রহমত তাদেরকে আবৃত করে রাখে, ফেরেশতাগণ তাদের বেষ্টন করে রাখেন এবং আল্লাহ তাঁর কাছে অবস্থিত ফেরেশতাদের কাছে তাদের আলোচনা করেন।”[6]
* তাছাড়া আরো এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«تَعَاهَدُوا هَذَا الْقُرْآنَ، فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَهُوَ أَشَدُّ تَفَلُّتًا مِنَ الْإِبِلِ فِي عُقُلِهَا» .
“তোমরা কুরআনের যথাযথ যত্ন নাও, তা হিফাযত ও সংরক্ষণ কর। ওই সত্তার শপথ! যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন, অবশ্যই উট তার রশি থেকে যেমন দ্রুত পালিয়ে যায় তার চেয়েও আরো তীব্র বেগে এ কুরআন চলে যায়। (অর্থাৎ কুরআনের প্রতি যত্নবান না হলে কুরআন স্মৃতি থেকে দ্রুত চলে যাবে।)”[7]
* রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:
«لَا يَقُلْ أَحَدُكُمْ نَسِيتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ، بَلْ هُوَ نُسِّيَ»
“তোমাদের কেউ যেন না বলে আমি অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি। বরং তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে।’[8]
হাদীসে نسيت ‘আমি ভুলে গেছি’ এ কথা বলবে না এজন্য যে, এতে করে কুরআন মুখস্থ করার পর গুরুত্বহীনতার কারণে ভুলে গেছে বুঝা যায়। তাই এভাবে বলা যাবে না।
* অনুরূপ আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ، وَالحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا، لَا أَقُولُ الم حَرْفٌ، وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ»
“যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ (অক্ষর) পাঠ করবে, তাকে একটি নেকী প্রদান করা হবে। আর প্রতিটি নেকী দশগুণ বৃদ্ধি করা হবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটি হরফ।”[9]
* আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলেন:
«إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ مَأْدُبَةُ اللَّهِ فَاقْبَلُوا مِنْ مَأْدُبَتِهِ مَا اسْتَطَعْتُمْ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ حَبْلُ اللَّهِ، وَالنُّورُ الْمُبِينُ، وَالشِّفَاءُ النَّافِعُ عِصْمَةٌ لِمَنْ تَمَسَّكَ بِهِ، وَنَجَاةٌ لِمَنْ تَبِعَهُ، لَا يَزِيغُ فَيُسْتَعْتَبَ، وَلَا يَعْوَجُّ فَيُقَوَّمُ، وَلَا تَنْقَضِي عَجَائِبُهُ، وَلَا يَخْلَقُ مِنْ كَثْرَةِ الرَّدِّ، اتْلُوهُ فَإِنَّ اللَّهَ يَأْجُرُكُمْ عَلَى تِلَاوَتِهِ كُلَّ حَرْفٍ عَشْرَ حَسَنَاتٍ، أَمَا إِنِّي لَا أَقُولُ الم حَرْفٌ، وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ» .
‘নিশ্চয়ই এ কুরআন আল্লাহর দস্তরখান। তোমরা যথাসম্ভব তার দস্তরখান থেকে গ্রহণ কর। এ মহাগ্রন্থ আল-কুরআন আল্লাহর মজবুত রশি, সুদীপ্ত জ্যোতি, উত্তম নিরাময়কারী, যে তা আঁকড়ে ধরবে তার জন্য কুরআন ত্রাতা, যে অনুসরণ করে তা তার জন্য নাজাত ও মুক্তির মাধ্যম। সে সত্য থেকে এমনভাবে বিচ্যুত হবে না যে তাকে ভর্ৎসনা করা হবে। সে বক্র পথে এমনভাবে যাবে না যে তাকে সোজা করতে হবে। কুরআনের বিস্ময়ের শেষ নেই। অধিক পুনরাবৃত্তির কারণে তা পুরাতন হয় না (অর্থাৎ কুরআনের আয়াতের পুনরাবৃত্তি হলেও তাতে নতুনত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। কারণ তার আবেদন চিরন্তন।) তোমরা কুরআন তিলাওয়াত করো, কারণ আল্লাহ তোমাদেরকে তিলাওয়াতকৃত প্রতিটি হরফের বিনিময়ে দশটি করে নেকী দেবেন। জেনে রাখ, আমি বলি না আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ, বরং আলিফ একটি, লাম একটি, এবং মীম একটি হরফ।”[10]আমার ভাইয়েরা! এই হলো আল-কুরআন পাঠের ফযীলত। অল্প আমলে অধিক সাওয়াব, তবে তা শুধু সে লোকের জন্যই যে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর পক্ষ থেকে সাওয়াব কামনা করে। সুতরাং প্রতারিত ও প্রবঞ্চিত সেই ব্যক্তি যে কুরআনের ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করে। আর সে লোকই তো ক্ষতিগ্রস্ত যে লাভ এমনভাবে হাতছাড়া হয়ে গেছে যে সে সেটাকে আর কাটিয়ে উঠতে পারে নি। এই যে ফযীলতসমূহের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তার গোটা কুরআনকেই শামিল করে।


June 19, 2019

Islamic question

*সালামের সঠিক উচ্চারন কি হবে?*
~~~~~♥
আমরা প্রতিদিন অনেককেই এভাবে সালাম দিতে শুনি যে, স্লামালাইকুম, সালামালাইকুম, আস্লামালাইকুম , সেলামালাইকুম,
আস্লামো আলাই, আসসামালাইকুম ইত্যাদি।

*আবার উত্তর দেয়ার সময়ও শোনা যায় ভুল শব্দের ব্যবহার। যেমন, অলাইকুম সালাম; অলাইকুম আস-সালাম ইত্যাদি।

*সালামের সঠিক উচ্চারণ হলো,*

 السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ

*আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি, ওয়া বার-কাতুহ্।*

وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ

*‘ওয়া আলাইকুমুস-সালাম, ওয়া রহমাতুল্লাহি, ওয়া বার-কাতুহ্।*
(আরবী উচ্চারণ একটু কঠিন তাই জানা কারো কাছ থেকে শিখে নিলে ভালো হয়)

আমরা অনেক সময়ই সালামের পূর্ণ জবাব দিতে কার্পণ্য করে থাকি। পুরো উত্তর বলি না, অথবা ভুল উত্তর দেই। অথচ আল্লাহ তাআলা কুরআনেই শিখিয়েছেন; কেউ সালাম দিলে তার চেয়ে উত্তম শব্দে উত্তর দিতে।

*আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ হিসাবকারী।* -(আন-নিসা; ৪:৮৬)

সহীহ হাদীছে এসেছে,

ইমরান ইবনু হুসাইন (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, *একদিন একব্যক্তি নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে এসে বলে, আসসলামু আলাইকুম। নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার সালামের জবাব দিলে সে ব্যক্তি বসে পড়ে। তখন নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, সে দশটি নেকী পেয়েছে। এর পর একব্যক্তি এসে বলে, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। তিনি তার সালামের জবাব দিলে, সে ব্যক্তি বসে পড়ে। তখন নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, সে বিশটি নেকী পেয়েছে। এপর এক ব্যক্তি এসে বলে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাক‘আতুহু। নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার সালামের জবাব দিলে সে বসে পড়ে। তখন তিনি বলেন, সে ত্রিশটি নেকী পেয়েছে*।
-(আবূ দাঊদ-৫১৯৫, আলবানী বলেন, হাদীছটি সহীহ; আল-আরনাঊত বলেন, হাসান)

*আল্লাহ্ আমাদের সকলকে সঠিকভাবে সালাম উচ্চারণের তাওফীক দান করুক। আমীন।*
June 19, 2019

নেতার মতো নেতা একজনই ছিলেন তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা:))

নেতার মতো নেতা একজনই
                ছিলেন তিনি হলেন
হযরত মুহাম্মদ (সা:)

Tuesday, April 16, 2019

April 16, 2019

বাংলা ইসলামিক খুব সুন্দর গল্প

*অশ্লীল গল্প, সেক্স ভিডিও এসব দেখার আগে দয়া করে এই পোস্টটি পড়ুন-*

চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ছেলেটি মোবাইলে কি যেনো একটা দেখছে! অন্ধকার গাঢ় আবছা, কানে ইয়ারফোন।
দেখছে যিনার দৃশ্য। স্বাদ নিচ্ছে তার চোখ। বড় বড় করে তাকিয়ে আছে ছেলেটি দেখছে গোপনে নিকৃষ্ট দৃশ্যগুলি।
নিস্তব্ধ রাত ১১ টা বেজে কুড়ি মিনিট।
নেকেড দেখছে, বা অবৈধ কোনো নারীর সাথে যিনার আলাপ করছে নিভৃতে। কত স্বাদ গুনাহ করতে!
হঠাৎ - আচমকা শরীরটা ঝাকুনি দিয়ে উঠলো! ছেলেটির মনে হলো কে যেনো ঢুকেছে রুমে কিন্তু, রুমের দরজা তো আটকানো। কি ব্যাপার, কে ঢুকলো রুমে অন্ধকারে?
হঠাৎ শরীরটা শিউরে উঠলো।অজানা কেমন একটা শব্দ কানে বাজলো। অনুভব করতে পারলো, কেনো জানি শরীরটা অবস হয়ে যাচ্ছে!
- হঠাৎ বা দিকে দেখলো এটা কি?
- ওমাহ কে এটা? বিশাল বড় কে? আমার পাশে দাড়িয়ে আছে। কিভাবে ঢুকলো রুমে, হায় মাবুদ এ কেমন ভয়ানক মূর্তি দাড়িয়ে আছে আমার সামনে। থর থর করে কাপছে শরীর, হাত থেকে বুকের উপর পড়লো মোবাইলটা।
নেকেড চলছে পুরোদমে। মোবাইলটা বুকের উপর থেকে পিছলে ছেলেটির গায়ের পাশে গিয়ে পড়লো,কিন্তু চলছে উলঙ্গ নারী - পুরুষের যিনার ভিডিও।
হয়তো মৃত্যুর ডাক পড়ে গেলো তার।
- সে দেখছে মালাকুল মউতকে
দাড়িয়ে আছে মৃত্যু দূত।
একটু আগেও দেহটা ছিলো অনেক গরম, কিন্তু মুহূর্তেই ঝিম মেরে ঠান্ডা হয়ে গেছে। মৃত্যু আজ তার সামনে, মনে মনে ভাবছে হায় আপসোস! একটু যদি তওবা করতে পারতাম! কিন্তু সময় যে আর নেই।
ছেলেটি পাপ ছাড়তে পারেনি এর আগেই ডাক পড়ে গেছে মৃত্যুর। সময় ও পাইনি তওবা করতে। মোবাইলে ছিলো অগনিত উলঙ্গ ভিডিও ছিলো কত রঙ, বেরঙের সুরেলা গান। ডিলিট ও করতে পারেনি তার আগেই মৃত্যু হাজির।
- মৃত্যু ডাকছে তাকে, আসো হে নাপাক আত্মা!
- আসো হে নাপাক জালিম! নফসের উপর অত্যাচারী রুহু।
ভয়ে রুহু দৌড়াদৌড়ি শুরু করলো দেহের আনাচে কানাচে। পা দুটি হিম ঠান্ডা হতে শুরু করলো। কেউ নেই পাশে চোখ উল্টিয়ে ভয়ে, গলাটাও শুকিয়ে গেছে। পাশেই পড়ে আছে নেকেডের মোবাইলটা।
হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে বসে হুম! কেউতো নেই, মৃত্যু দূত চলে গেছে আমাকে সুযোগ দিয়ে।
- তাই সময় থাকতেই ভাই, মোবাইলটা হাতে নিয়ে যা অশ্লীল কিছু আছে সব ডিলিট করো। যতো অবৈধ কিছু আছে সব মুছে ফেলো, তওবা করো,,,
{ হে আল্লাহ তুমিতো মহান, ক্ষমতাশীল, দয়াবান, মেহেরবানি করে আমাকে ক্ষমা করে দাও।
সকল খারাপ কাজ থেকে আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেফাজত করুন  #আমিন }

আসুন সকলে মিলে ইসলাম প্রচার করি
Https//islamiclife700.blogspot.com