Personal Loan, Home Loan, Business Loan, Life Insurance

Breaking

Google search

Translate

Saturday, June 29, 2019

যে রাতটি লাইলাতুল কদর হবে সেটি বুঝার কি কোন আলামত আছে?

যে রাতটি লাইলাতুল কদর হবে সেটি বুঝার কি কোন আলামত আছে?

হাঁ,সে রাতের কিছু আলামত হাদীসে বর্ণিত আছে।
সেগুলো হল:-

(১) রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।

(২) নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।

(৩) মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।

(৪) সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।

(৫) কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।

(৬) ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।

(৭) সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত।
(সহীহ ইবনু খুযাইমাহ : ২১৯০ ;
বুখারী : ২০২১ ; মুসলিম : ৭৬২)।

 আপনি কি ১ রাতে ৮৩ বছর ৪ মাস ইবাদতের চেয়ে বেশী সওয়াব পেতে চান?

আল্লাহ তা’লা বলেন-
ﻟَﻴﻠَﺔُ ﺍﻟﻘَﺪﺭِ ﺧَﻴﺮٌ ﻣِﻦ ﺃَﻟﻒِ ﺷَﻬﺮٍ
শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
(সূরা কদর-আয়াত ৩)

শবে কদরের দোয়া :

ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﺗُﺤِﺐُّ ﺍَﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﻲ
" আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নী।"
অর্থাৎ, হে আল্লাহ্! নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা ভালবাস। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
(আহমদ,তিরমীযি,ইবনু মাজাহ; মিশকাত :২০৯১)
(রিয়াযুস স্বা-লিহীন: তাওহীদ পাবলিকেশন্স: পৃষ্ঠা-৫৩৬ :হাদীস-১২০৩)।

 আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন: আমি বলেছি, হে আল্লাহর রাসুল ﷺ , আপনি কি লক্ষ করেছেন আমি যদি লাইলাতুল ক্বদর জানতে পারি, আমি তখন কি বলবো
(কি দু’আ করবো)? তিনি বলেনঃ তুমি বলবে;
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﻛَﺮِﻳﻢٌ ﺗُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﺎ
উচ্চারণঃ
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা 'আফিউন কারিমুন তুহিব্বুল 'আফ ওয়া ফা'ফু আন্নি!
-হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমশীন, দয়াবান, ক্ষমা করতে তুমি ভালবাসো, এতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
[তিরমিযী হা/৩৫১৩; ইবনে মাজাহ হা/৩৮৫০;
মিশকাত হা/২০৯১]

আপনি যদি এটা বছরে গণনা করেন তবে এ রাতে ইবাদত করা মানে দাঁড়াচ্ছে ৮৩ বছর ৪ মাস ইবাদত করার চেয়েও শ্রেষ্ঠ। একজন মানুষ ৮৩ বছর ৪ মাস বেঁচে থাকবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই কিন্তু মাত্র রমজানের শেষের এই ১০ টি রাত জেগে ইবাদত করলে নিশ্চিত পেয়ে যাবেন ৮৩ বছর ৪ মাস ইবাদত করার সমান সওয়াব। আর যারা ১০ রাত জাগতে পারবেন না তারা অবশ্যই ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ এই পাঁচটি রাত জেগে জেগে মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করবেন কেননা এই ৫ রাতের যে কোন রাতই
কদরের রাত হতে পারে, আপনি যদি শুধু ২৭-এর রাত জেগে ইবাদত করেন তাহলে আপনি হয়তোবা হারিয়ে ফেলতে পারেন মহান রবের এই অসিম করুনার রাত।

এজন্য যারা ইতিকাফ করেন, এটা তাদের জন্য যে কতো বড় খুশীর ব্যাপার কেননা তারা নিশ্চিতভাবেই পেয়ে যাবে কদরের রাত এজন্যই তো মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতে ছাড়তেন না, আমাদেরও প্রত্যেকের উচিত, সম্ভব হলে ইতিকাফ করা,
নিজেদের কল্যাণের জন্য ১০ টা দিন কি আল্লাহ তা’লার পথে আমরা ব্যয় করতে পারি না? আর ইতিকাফ করা সম্ভব না হলেও অবশ্যই নিজের পরিবারের সবাইকে নিয়ে অন্তত বিজোড় রাতগুলো সাড়া রাত জেগে ইবাদত করবেন ইন- শা-আল্লাহ, আর কেনোইবা করবেন না,
দেখুন রাসুল (সাঃ) কি করেছেন শেষের এই ১০ রাতে-রাসুল (সাঃ) রমজানের শেষ ১০ রাতেই প্রায় সারারাত জেগে ইবাদত করেছেন এমনকি রাতগুলোতে রাসুল (সাঃ) ইবাদত করার জন্য লুঙ্গি শক্ত করে বেধে নিতেন এবং পরিবারের সকলকেও ইবাদতের জন্য জাগাতেন।
(বুখারি -২০২৪)।

রমজানের শেষ দশদিনে রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোমর বেঁধে ইবাদতে আত্মনিয়োগ করতেন। নিজে জাগতেন এবং পরিবারের লোকজনকেও জাগিয়ে
তুলতেন।
(বুখারি : ২০২৪, মুসলিম : ১১৭৪)।

তাহলে কিভাবে রাতগুলো পালন করবো সেটা আমরা স্পষ্টই বুঝতে পারছি।
এই রাতগুলোতে আমরা বিশেষত :
১-বেশী বেশী সলাত আদায় করা,
২-কুরআন তিলায়ত করা,
৩- তাসবিহ তাহলিল;
যেমন সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্,
আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা হাওলা ওয়া লা-কুওয়তা ইল্লা বিল্লাহ, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি এগুলো বেশী বেশী পাঠ করা,
 ৪- বেশী বেশী আল্লাহ তা’লার কাছে ক্ষমা
ভিক্ষা চাওয়া এবং মনের বিভিন্ন আকুতি তুলে ধরা,
 ৫- আল্লাহ তা’লার কাছে অতীতের পাপের জন্য বারবার ক্ষমা চাওয়া,
৬- সম্ভব হলে কিছু দান করা সহ যতো ভালো কাজ আছে সবই বেশি বেশী করার চেষ্টা করে মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জন করতেই হবে। সবাই
প্রস্তুতি গ্রহণ করুণ ইন-শা-আল্লাহ।
লাইলাতুল্ কদরের রাতে বেশী বেশী দুআ করুন। তন্মধ্যে সেই দুআটি বেশী বেশী পাঠ করা যা

নবী (সাঃ) মা আয়েশা (রাযিঃ)কে শিখিয়েছিলেন।
মা আয়েশা নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেনঃ
হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি লাইলাতুল কদর
লাভ করি, তাহলে কি দুআ করবো? তিনি (সাঃ) বলেনঃ বলবে, (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন
তুহিব্বুল্ আফওয়া ফা’ফু আন্নী”।
[আহমদ,৬/১৮২]

অর্থ, হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল।
ক্ষমা পছন্দ কর, তাই আমাকে ক্ষমা কর।
আসা করি সবাই উত্তর টা পেয়েছেন

No comments: