আর কবর যিয়াতের শর‘ঈ পদ্ধতি হলো, মৃতব্যক্তিকে সালাম দিবে এবং তার জন্য দো‘আ করবে, যেরূপে জানাযার সালাতে করা হয়, আর অনুরূপই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত করার সময় তাঁর সাহাবীগণকে শিক্ষা দিয়েছেন। যেন তারা বলে,
«السلام عليكم دار قوم مؤمنين، وإنا إن شاء الله بكم لاحقون، يرحم الله المستقدمين منا والمستأخرين، نسأل الله لنا ولكم العافية، اللهم لا تحرمنا أجرهم، ولا تفتنّا بعدهم»
“মুমিন বাসিন্দাদের প্রতি সালাম, এটি মুমিনদের ঘর। নিশ্চয় ইনশাআল্লাহ আমরা তোমাদের সাথে একত্রিত হবো। আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের অগ্রজ ও অনুজদের ক্ষমা করুন। আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য এবং তোমাদের জন্য নিরাপত্তা চাচ্ছি। হে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিদান থেকে বঞ্চিত করবেন না এবং তাদের পরে কোনো বিপর্যয় দিবেন না”।[1]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলতেন,
«مَا مِنْ رَجُل يَمُرّ بِقَبْرِ أَخِيهِ كَانَ يَعْرِفهُ فِي الدُّنْيَا فَيُسَلِّم عَلَيْهِ إِلَّا رَدَّ اللَّه عَلَيْهِ رُوحه حَتَّى يُرَدّ عَلَيْهِ السَّلَام».
“যে কোনো ব্যক্তি পরিচিত কোনো বান্দার কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে এবং সালাম দেয় তখন আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি উত্তর দেওয়ার জন্য কবরস্থ ব্যক্তির রূহ বা আত্মাকে তার কাছে ফেরত দেন।”[2]
আর মহান আল্লাহ মৃত মুমিন ব্যক্তির জন্য দো‘আকারী জীবিত ব্যক্তিকে সাওয়াব দেন, যেমনটি যখন সে জানাযার সালাত পড়লে সাওয়াবপ্রাপ্ত হয়। একারণেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ কাজটি মুনাফিকের জন্য করতে বারণ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَلَا تُصَلِّ عَلَىٰٓ أَحَدٖ مِّنۡهُم مَّاتَ أَبَدٗا وَلَا تَقُمۡ عَلَىٰ قَبۡرِهِۦٓۖ ٨٤﴾ [التوبة: ٨٤]
“আর তাদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে আপনি কখনো তার জন্য জানাযার সালাত পড়বেন না এবং তার কবরের পাশে দাঁড়াবেন না”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৮৪]
সুতরাং শরী‘আত সমর্থিত যিয়ারতে মৃত ব্যক্তির নিকট জীবিত ব্যক্তির কোনো প্রয়োজন, কোনো চাওয়া, কোনো ওসীলা প্রদান ইত্যাদি কিছুই নেই; বরং সেখানে জীবিত ব্যক্তির দ্বারা মৃত ব্যক্তির উপকৃত হওয়ার বিষয়টি রয়েছে, যা তার জন্য জানাযার সালাত আদায় করার মতোই। আর আল্লাহ তা‘আলা এ ব্যক্তির দো‘আ ও ইহসানের কারণে তার প্রতি রহম করেন এবং এ কাজের বিনিময়ে ব্যক্তিকে সওয়াব প্রদান করেন। যেমনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন,
«إذا مات الإنسانُ انقطع عملُه إلا من ثلاثةٍ إلا من صدقةٍ جاريةٍ أو علمٍ يُنْتَفَعُ به أو ولدٍ صالحٍ يدعو له»
“যখন কোনো ব্যক্তি মারা যায়, তখন তার তিনটি আমল ব্যতীত সব বন্ধ হয়ে যায়, সাদাকাহ জারিয়াহ, উপকারী ইলম অথবা নেক সন্তান যা তার জন্য দো‘আ করবে”।[3]
«السلام عليكم دار قوم مؤمنين، وإنا إن شاء الله بكم لاحقون، يرحم الله المستقدمين منا والمستأخرين، نسأل الله لنا ولكم العافية، اللهم لا تحرمنا أجرهم، ولا تفتنّا بعدهم»
“মুমিন বাসিন্দাদের প্রতি সালাম, এটি মুমিনদের ঘর। নিশ্চয় ইনশাআল্লাহ আমরা তোমাদের সাথে একত্রিত হবো। আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের অগ্রজ ও অনুজদের ক্ষমা করুন। আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য এবং তোমাদের জন্য নিরাপত্তা চাচ্ছি। হে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিদান থেকে বঞ্চিত করবেন না এবং তাদের পরে কোনো বিপর্যয় দিবেন না”।[1]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলতেন,
«مَا مِنْ رَجُل يَمُرّ بِقَبْرِ أَخِيهِ كَانَ يَعْرِفهُ فِي الدُّنْيَا فَيُسَلِّم عَلَيْهِ إِلَّا رَدَّ اللَّه عَلَيْهِ رُوحه حَتَّى يُرَدّ عَلَيْهِ السَّلَام».
“যে কোনো ব্যক্তি পরিচিত কোনো বান্দার কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে এবং সালাম দেয় তখন আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি উত্তর দেওয়ার জন্য কবরস্থ ব্যক্তির রূহ বা আত্মাকে তার কাছে ফেরত দেন।”[2]
আর মহান আল্লাহ মৃত মুমিন ব্যক্তির জন্য দো‘আকারী জীবিত ব্যক্তিকে সাওয়াব দেন, যেমনটি যখন সে জানাযার সালাত পড়লে সাওয়াবপ্রাপ্ত হয়। একারণেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ কাজটি মুনাফিকের জন্য করতে বারণ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَلَا تُصَلِّ عَلَىٰٓ أَحَدٖ مِّنۡهُم مَّاتَ أَبَدٗا وَلَا تَقُمۡ عَلَىٰ قَبۡرِهِۦٓۖ ٨٤﴾ [التوبة: ٨٤]
“আর তাদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে আপনি কখনো তার জন্য জানাযার সালাত পড়বেন না এবং তার কবরের পাশে দাঁড়াবেন না”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৮৪]
সুতরাং শরী‘আত সমর্থিত যিয়ারতে মৃত ব্যক্তির নিকট জীবিত ব্যক্তির কোনো প্রয়োজন, কোনো চাওয়া, কোনো ওসীলা প্রদান ইত্যাদি কিছুই নেই; বরং সেখানে জীবিত ব্যক্তির দ্বারা মৃত ব্যক্তির উপকৃত হওয়ার বিষয়টি রয়েছে, যা তার জন্য জানাযার সালাত আদায় করার মতোই। আর আল্লাহ তা‘আলা এ ব্যক্তির দো‘আ ও ইহসানের কারণে তার প্রতি রহম করেন এবং এ কাজের বিনিময়ে ব্যক্তিকে সওয়াব প্রদান করেন। যেমনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন,
«إذا مات الإنسانُ انقطع عملُه إلا من ثلاثةٍ إلا من صدقةٍ جاريةٍ أو علمٍ يُنْتَفَعُ به أو ولدٍ صالحٍ يدعو له»
“যখন কোনো ব্যক্তি মারা যায়, তখন তার তিনটি আমল ব্যতীত সব বন্ধ হয়ে যায়, সাদাকাহ জারিয়াহ, উপকারী ইলম অথবা নেক সন্তান যা তার জন্য দো‘আ করবে”।[3]
No comments:
Post a Comment